স্কেলার রাশি (scalar):
যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা সম্পুর্ণ ভাবে প্রকাশ করা যায়, দিক নিদের্শের প্রয়োজন হয়না তাদের স্কেলার রাশি বলে। দ্রুতি, কাজ, ক্ষমতা, শক্তি, ঘনত্ব, তাপ, তাপমাত্রা, ভর ,সময়, আয়তন, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, কম্পাংক, বিস্তার, দীপনমাত্রা, দীপন ক্ষমতা, বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা, রোধ, চার্জ, জনসংখ্যা, মৃত্যুহার, জন্মহার, প্রতিসরাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক, চৌম্বক বিভব,বৈদ্যুতিক বিভব, বিচ্যুতি ইত্যাদি স্কেলার রাশির উদাহরণ।
ভেক্টর রাশি (vector):
যে সকল ভৌত রাশিকে সম্পুর্ণরুপে প্রকাশের জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাদেরকে ভিক্টর রাশি বলে। যেমন; বেগ, ভরবেগ,সরণ, ত্বরণ, মন্দন, বল, বলের ঘাত, বলের ভ্রামক, চৌম্বক ভ্রামক, চৌম্বক দৈর্ঘ্য, চৌম্বক প্রাবাল্য, বৈদ্যূতিক প্রাবাল্য, ওজন, পৃস্টটান, সান্দ্রতা, গুনাঙ্ক, অভিকর্ষজ ত্বরণ ইত্যাদি।
স্কেলার ও ভেক্টর রাশির মধ্যে পার্থক্যঃ
১। স্কেলার রাশির শুধুমাত্র মান আছে, কিন্তু কোনো দিক নেই। অপরদিকে, ভেক্টর রাশির মান ও দিক উভয়ই আছে।
২। দিক পরিবর্তন হলেও স্কেলার রাশির মানের কোনো পরিবর্তন হয় না। অপরদিকে দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ভেক্টর রাশির মানেরও পরিবর্তন হয়।
৩। স্কেলার রাশি প্রকাশে শুধু মান ও এককের প্রয়োজন হয়। অপরদিকে ভেক্টর রাশির ক্ষেত্রে মান ও এককের সাথে দিকেরও প্রয়োজন হয়।
৪। স্কেলার রাশি একমাত্রিক প্যারামিটার। অপরদিকে, ভেক্টর রাশি একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক এমন কি ত্রিমাত্রিক প্যারামিটারও হতে পারে।
5। স্কেলার রাশির উদাহরণ হলো দৈর্ঘ্য, ক্ষেত্রফল, আয়তন, ভর, সময়, তাপমাত্রা, কার্য, দ্রুতি ইত্যাদি। অপরদিকে ভেক্টর রাশির উদাহরণ হলো বল, ওজন, সরণ, বেগ, ত্বরণ, ভরবেগ ইত্যাদি।