খ্রিস্টাব্দ (ক্রিস্টপূর্ণ সন) এবং সাল দুটি সময় শৃংগে এসে থাকে এবং পৃথিবীর ইতিহাসে গতি এবং সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খ্রিস্টাব্দ হল খ্রিস্টের জন্মের তারিখ হিসেবে ধরা হয় এবং এটি বৈদ্যুতিন পঞ্চাঙ্গের একটি মুখ্য সনাঙ্ক। সাল, সম্পূর্ণ সময়টির একটি একক পরিমাণ, যা সময়ের অবস্থান নির্দেশ করে। সাল গণনার একটি গঠনমূলক পরিমাণ হল 365 দিন, 5 ঘণ্টা, 48 মিনিট এবং 45.975 সেকেন্ড।
খ্রিস্টাব্দ এবং সালের মধ্যে পার্থক্যঃ
১. সাল’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Year, বাংলায় ‘বছর, বৎসর, বর্ষ’ ‘সন’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Year; বাংলায় ‘বছর/বর্ষ’। অন্যদিকে, ‘খ্রিস্টাব্দ’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Before Christ।
২. খ্রিস্টাব্দ মূলত খ্রিস্টের জন্মের তারিখ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, সাল পৃথিবীর গতির একটি মৌলিক মান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. খ্রিস্টাব্দ গণনা খ্রিস্টের জন্মের তারিখ হিসেবে মৌলিকভাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, সাল পৃথিবীর গতি এবং গতিবিদ্যা ভিত্তিক হয়।
৪. খ্রিস্টাব্দ বর্ষ একটি ইতিহাসিক ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে সংযোজিত। অন্যদিকে, সাল গণনা প্রণালীর অধীনে রয়েছে।
৫. খ্রিস্টাব্দ একটি খ্রিস্টান ধর্মীয় মূলমন্ত্র এবং ইতিহাসের অংশ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, সাল একটি মৌলিক সময় গঠন করে, যা সমাজে ব্যক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মিক ঘটনাগুলির সাথে সংযোজিত।