অ্যাডভোকেট ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য

অ্যাডভোকেট:

অ্যাডভোকেট শব্দটি এমন ব্যক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যা প্রকাশ্যে সমর্থন করে বা কোনও নির্দিষ্ট কারণ বা নীতিমালা বা অন্য কোনও ব্যক্তির পক্ষে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে, সুরক্ষিত। এই সংজ্ঞা অবিলম্বে আমাদের একটি আইনি টিভি সিরিজ, তাদের শক্তিশালী আর্গুমেন্ট, মৌখিক গ্রেনেড এবং তারা তাদের আর্গুমেন্ট উপস্থাপন পদ্ধতি যেভাবে আমাদের প্রিয় আইনজীবি এক বা আরও picturing আছে। সুতরাং, আমাদের একটি অ্যাডভোকেটের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ আছে। আইনে, একজন অ্যাডভোকেটকে এমন ব্যক্তি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যিনি

অন্য কোন কারণে আইন আদালত বা বিচার ট্রাইব্যুনাল এর আগে আবেদন করেন মূলত, একজন অ্যাডভোকেট তার ক্লায়েন্টের স্বার্থকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তার অধিকারের জন্য লড়াই করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালায়। উদাহরণস্বরূপ, শিশু নির্যাতন জড়িত একটি ক্ষেত্রে, সন্তানের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট সন্তানের কারণ এবং তার অধিকার জন্য যুদ্ধ তিরস্কার করা হবে। এডভোকেটরাও আইনজীবী, কিন্তু ঐতিহ্যগতভাবে, তাদের ভূমিকা তাদের ক্লায়েন্টদের প্রতিনিধিত্ব এবং আদালতের সামনে তাদের মামলা দায়ের করার জন্য সীমাবদ্ধ।

ব্যারিস্টার:

ব্যারিস্টারগণ সাধারণ আইনগত বিচারব্যবস্থার এক ধরনের আইনজীবী। ব্যারিস্টারগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনি পরামর্শ এবং মামলা মোকদ্দমাতে বিশেষজ্ঞ হন। তাদের পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে উচ্চ আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলিতে মামলা নেওয়া, আইনি খসড়া করা, দর্শন, অনুমান এবং আইনের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা এবং বিশেষজ্ঞের আইনি মতামত দেওয়া অন্তর্ভুক্ত। প্রায়শই ব্যারিস্টারগণ আইনি পণ্ডিত হিসাবেও স্বীকৃত হন।

ব্যারিস্টারগণ সেসকল আইনজীবীদের থেকে ভিন্ন, যাদের মক্কেলদের সাথে বেশি সংযোগ রয়েছে এবং যারা লেনদেন-ধরনের আইনি কাজও করতে পারে। মূলত ব্যারিস্টারগণ বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং তারা খুব কমই সরাসরি মক্কেলদের দ্বারা অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত হন। স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ শাসনাধীন জার্সি, গার্নসি এবং আইল অফ ম্যানের আইনি ব্যবস্থায় ব্যারিস্টার শব্দটিকে সম্মানজনক উপাধি হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।

অ্যাডভোকেট ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য:

ব্যারিস্টারগণ সাধারণ আইনগত বিচারব্যবস্থার এক ধরনের আইনজীবী। ব্যারিস্টারগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনি পরামর্শক। অ্যাডভোকেট ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

যুক্তরাজ্য (UK) চারটা রাজ্যে বিভক্ত। ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আইন পেশা দুই ভাগে বিভক্ত যথা-

১. সলিসিটর এবং

২. ব্যারিস্টার

যারা কোর্টে প্র্যাকটিস করবে, Litigation করবে তথা কোর্ট বিষয়ক পরামর্শ দেবে তারা ব্যারিস্টার। অন্যদিকে যারা কোর্ট ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় আইনি বিষয়ে পরামর্শ দেবে তারা সলিসিটর। তবে দুই জনই যোগ্যতায় সমানে সমান। এখন ব্যারিস্টারি পড়ে কি শেখা যায় সে বিষয়ে একটু বলি, ব্যারিস্টারি আসলে করা হয় ইংল্যান্ডের আদালতে প্র্যাকটিস করার জন্য। ওখানকার সে দেশের ফৌজদারি ও দেওয়ানী কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন এবং আদালতের যে কার্যবিধি সেসব বিষয় জানা যায়। এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্র্যাকটিসের সঙ্গে কোন মিল নেই।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার একটা সামাজিক উপাধি ছাড়া কিছুই না। যেমন হজ্ব করে এসে অনেকেই ‘আলহাজ্ব’ লিখেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টারও শ্রেফ তেমন একটা সামাজিক উপাধি। আমি মনে করি গণসচেতনতার অভাবে সাধারণ মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যে ব্যারিস্টাররা সম্ভবত অ্যাডভোকেটদের চেয়ে ভাল উকিল! যে ভাল উকিল সে ব্যারিস্টার হোক বা না হোক সে ভাল উকিল।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের আইনি কাঠামোতে প্র্যাকটিস করতে হলে ব্যারিস্টার হলেও অ্যাডভোকেটশীপ নিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশের আইন পেশায় একটাই উপাধি, আর তা হলো অ্যাডভোকেট। আমাদের দেশের আইনে কেবল অ্যাডভোকেটরাই কোর্ট অফিসার।