এয়ার কন্ডিশন (Air condition):
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Air conditioning) হচ্ছে অভ্যন্তরীন বাতাসে (indoor air) আর্দ্রতার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরী। বিশদ অর্থে শীতলীকরন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বাতাসের গতি নিয়ন্ত্রণ ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
একটা এসির মধ্যে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকা দুটি কয়েল থাকে।
যার মধ্য দিয়ে ক্রমাগত রেফ্রিজারেন্ট ফ্লুইড (Refrigerant Fluid) প্রবাহিত হতে থাকে। ঘরের মধ্যে যে কয়েলটা লাগানো থাকে সেটাকে এভাপুরেটর (Evaporator) বলা হয়। ঘরের বাইরে যে কয়েল লাগানো থাকে তাকে কনডেনসার (Condenser) বলা হয়। আর এর মূল কার্যপদ্ধতিটা একদমই সহজ। একটা এয়ার কন্ডিশনারের কাজ হলো ঘরের মধ্যে থাকা এভাপুরেটরকে ঠান্ডা রাখা অর্থ্যাৎ রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে বেশি ঠান্ডা রাখা।
কনডেসারকে গরম রাখা। অর্থ্যাৎ বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা থেকে বেশি গরম রাখা। আর এর সাহায্যেই আপনার ঘরের ভিতরে থাকা এভাপুরেটর আপনার রুমের হিটকে শোষণ করবে এবং বাইরে থাকা কনডেনসার পরিবেশের মধ্যে ওই হিটটাকে বাইর করে দিবে।
এয়ার কুলার (Air cooler):
এয়ার কুলার(Air cooler) হলো একটি বদ্ধ প্রকোষ্ঠের ভিতর ফ্যান থাকে এবং প্রকোষ্ঠের ভিতর পানিতে ভেজা ছাকুনির মধ্য দিয়ে বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে। ছাকুনির মধ্যে দিয়ে বায়ু প্রবেশের সময় বাতাসের আদ্রতা ছাকুনিতে আটকে যায় এবং বায়ুকে পানির সমপরিমান ঠান্ডা করে ভিতরের ফ্যান তা বাইরে বের করে দেয়। তাই এয়ার কুলার হতে পানির সমপরিমান ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায়।
সুতরাং, সরাসরি বাষ্পীভবন কুলিং বাষ্পীভবনের সুপ্ত তাপ ব্যবহার করে তরল জলকে জলীয় বাষ্পে পরিবর্তন করে তাপমাত্রা কমিয়ে বাতাসের আর্দ্রতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়াতে, বাতাসের শক্তি পরিবর্তন হয় না। বাইরের বাতাসের উত্তাপ জল বাষ্পীভবন করতে ব্যবহৃত হয়।
এয়ার কুলার(Air cooler) পানি ও বরফ দ্বারা পরিচালিত। কক্ষকে পানির সমপরিমান ঠান্ডা করা যায়। বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম। যে কোন কক্ষেই চালানো সম্ভব। পোর্টেবল হওয়ায় যে কোন স্থানান্তরযোগ্য। অল্প টাকায় ক্রয় করা যায়, যা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে।
এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনের মধ্যে পার্থক্যঃ
এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। নিচে এয়ার কুলার এবং এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো-
১। এয়ার কন্ডিশনের গ্যাস দ্বারা পরিচালিত। কক্ষকে যে কোন মাত্রায় ঠান্ডা করা যায়। কম্প্রেসার থাকায় প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। অন্যদিকে এয়ার কুলার – পানি ও বরফ দ্বারা পরিচালিত। কক্ষকে পানির সমপরিমান ঠান্ডা করা যায়। বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম।
২। এয়ার কন্ডিশনের দাম অনেক বেশী। আবদ্ধ কক্ষের প্রয়োজন। পোর্টেবল হওয়ায় যে কোন স্থানান্তরযোগ্য। অন্যদিকে এয়ার কুলার যে কোন কক্ষেই চালানো সম্ভব। পোর্টেবল হওয়ায় যে কোন স্থানান্তরযোগ্য। অল্প টাকায় ক্রয় করা যায়, যা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে।
৩। এয়ার কন্ডিশন একটি রেফ্রিজারেন্ট এবং রাসায়নিক কুল্যান্ট ব্যবহার করে বাতাসকে শর্তযুক্ত করে। অন্যদিকে এয়ার কুলার জল-শোষণকারী প্যাডগুলি ব্যবহার করে বাতাস থেকে তাপ সরিয়ে দেয়।
৪। এয়ার কন্ডিশন শুষ্ক এবং আর্দ্র উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর। অন্যদিকে এয়ার কুলার শুকনো অঞ্চলে আরও দরকারী।
লাইফ স্টাইল সংক্রান্ত আরো পার্থক্য পড়ুনঃ Lifestyle
আরোও পার্থক্য পড়ুনঃ যোগান রেখা ও সূচির মধ্যে পার্থক্য, স্বাধীন চলক ও অধীন চলকের মধ্যে পার্থক্য, একমাত্রিক ও দ্বিঘাত অপেক্ষকের মধ্যে পার্থক্য, মুদ্রাস্ফীতি এবং অপসারণের মধ্যে পার্থক্য, সংকীর্ণ মুদ্রা ও বিস্তৃত মুদ্রার মধ্যে পার্থক্য, মোট, গড় ও প্রান্তিক ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য, স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য, দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য, ইসলামি অর্থনীতি ও প্রচলিত অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য