অ্যানালগ সিগন্যাল (Analog signal):
এটি এমন এক ধরনের সাংকেতিক প্রক্রিয়া বা একটানা চলমান পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ যা যে কোনাে মাধ্যমে বিচরণে সক্ষম। এটি সাইনুসাইডাল বা ননসাইমুসােইডাল হতে পারে এবং এর মান একটি সর্বনিম্ন মান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত যে কোনাে মান হতে পারে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মানের মধ্যবর্তী যে কোনাে মানের জন্য বহির্গামীতে একটি সিগন্যাল পাওয়া যাবে ।
ডিজিটাল সিগন্যাল (Digital signal):
এটি এমন এক ধরনের থেকে থেকে থেমে যাওয়া সংকেত যা বৈদ্যুতিক সংকেত ‘On’ এবং ‘Of’-এর মত কাজ করে। ডিজিটাল সিগন্যাল কেবল ০ এবং ১ নিয়ে কাজ করে অর্থাৎ অন্তর্গামীতে ০ কিংবা ১-এর জন্য বহির্গামীতে একটি সিগন্যাল পাওয়া যাবে।
এনালগ এবং ডিজিটাল সিগন্যালের মধ্যে পার্থক্য:
এটি এমন এক ধরনের সাংকেতিক প্রক্রিয়া বা একটানা চলমান পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ যা যে কোনাে মাধ্যমে বিচরণে সক্ষম। এনালগ এবং ডিজিটাল সিগন্যালের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। একটি অ্যানালগ সংকেত একটি অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গ যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। অন্যদিকে একটি ডিজিটাল সিগন্যাল হল একটি তরঙ্গ তরঙ্গ যা বাইনারি আকারে তথ্য বহন করে।
২। একটি এনালগ সংকেত একটি সাইন ওয়েভ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। অন্যদিকে একটি ডিজিটাল সিগন্যাল বর্গ তরঙ্গ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
৩। একটি অ্যানালগ সংকেত প্রশস্ততা, সময়কাল বা ফ্রিকোয়েন্সি এবং পর্যায় দ্বারা বর্ণিত হয়। অন্যদিকে একটি ডিজিটাল সিগন্যাল বিট রেট এবং বিট অন্তর দ্বারা বর্ণিত হয়।
৪। অ্যানালগ সিগন্যালের কোনও নির্দিষ্ট ব্যাপ্তি নেই। অন্যদিকে ডিজিটাল সিগন্যালের একটি সসীম সংখ্যা অর্থাৎ ০ এবং ১ রয়েছে।
৫। একটি অ্যানালগ সংকেত আরও বিকৃতির প্রবণতা। অন্যদিকে একটি ডিজিটাল সিগন্যাল বিকৃতি কম প্রবণ হয়।
৬। একটি অ্যানালগ সংকেত একটি তরঙ্গ আকারে ডেটা প্রেরণ করে। অন্যদিকে একটি ডিজিটাল সিগন্যাল বাইনারি আকারে ডেটা বহন করে অর্থাত ০ ন্যাড ১।