দুটি শব্দের সংযোগে ও ব্যবহার করা হয়। আর দুটি বাক্যের সংযোগে এবং ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ও বসে দুই শব্দের মাঝখানে। যেমনঃ তুমি ও সে। আর এবং বসে দুই বাক্য বা বাক্যাংশের মাঝখান। যেমনঃ আমরা বাংলায় কথা বলি তাই বাঙালী এবং বাংলাদেশে জন্ম বলে আমরা বাংলাদেশী।
‘ও’ আর ‘এবং’ এর মধ্যে পার্থক্যঃ
১। ‘ও’ ধন্যাত্মক শব্দ ও বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। যেমন- “ও, এরকমই তো হবে।” উপরোক্ত বাক্যে ‘ও’ অনুধাবনমূলক ধন্যাত্মক শব্দ। অন্যদিকে, ” ও কথা আর বল না।” বাক্যে ‘ও’ বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘এবং’ শুধুই অব্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২। “ও” সাধারণত দুটি বাক্যের মধ্যে যুক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, “এবং” সাধারণত দুটি বাক্যের মধ্যে যুক্তিহীন সম্পর্ক প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।
৩। সাধারণত ‘ও’ বসে দুই শব্দের মাঝখানে। অন্যদিকে, ‘এবং’ বসে দুই বাক্য বা বাক্যাংশের মাঝখান।
৪। সাধারণ নিয়মে কিছু ক্ষেত্রে, “ও” এবং “এবং” এর ব্যবহার বিপরীত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, “আমি এবং তুমি” বাক্যে “ও” ব্যবহৃত হলেও, এটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তিকে বোঝাতে পারে। আবার, “আমি ভালোবাসি, তাই আমি তোমাকে বিয়ে করব” বাক্যে “এবং” ব্যবহৃত হলেও, এটি দুটি যুক্তিহীন বাক্যের সমন্বয় হতে পারে।
৫। “ও” আর “এবং” এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে বাক্যের অর্থ ও প্রসঙ্গের উপর।
৬। “ও” সাধারণত দুটি বাক্যের মধ্যে যুক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
তুমি লজ্জা পাও, তাই তুমি কথা বলছ না।
আমি ভালোবাসি, তাই আমি তোমাকে বিয়ে করব।
অন্যদিকে, “এবং” সাধারণত দুটি বাক্যের মধ্যে যুক্তিহীন সম্পর্ক প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
আমি লজ্জা পাই, এবং আমি কথা বলি না।
আমি ভালোবাসি, এবং আমি তোমাকে বিয়ে করব।