ধমনি ও শিরা মূলত রক্তনালি। যেসব রক্তনালির মাধ্যমে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়, তা-ই ধমনি। যেসব নালি দিয়ে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাদের শিরা বলে। নিচে ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য তুলো ধরা হলো—
ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্যঃ
১৷ ধমনীর উৎসস্থল হৃৎপিণ্ড এবং মিলনস্থল জালক। অন্যদিকে শিরার উৎসস্থল জালক এবং মিলনস্থল হৃৎপিণ্ড।
২৷ ধমনীর প্রাচীর পুরু ও গহ্বর ছোট। অন্যদিকে শিরার প্রাচীর পাতলা ও গহ্বর বড়।
৩৷ ধমনীর মধ্যে কপাটিকা থাকে না। অন্যদিকে শিরার মধ্যে কপাটিকা থাকে।
৪৷ ধমনীর মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। অন্যদিকে শিরার মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে পরিবাহিত হয়।
৫৷ ধমনীর মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্ত বা অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয় (ব্যতিক্রম – ফুসফুসীয় ধমনী, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয় )। অন্যদিকে শিরার মাধ্যমে দূষিত রক্ত বা ডি অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয়, (ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় শিরা, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়) ।
৬৷ ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত বেগে প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে শিরার মধ্যে দিয়ে রক্ত ধীরে প্রবাহিত হয়।
৭৷ ধমনীর স্পন্দন আছে। অন্যদিকে শিরার স্পন্দন নেই।
৮৷ ধমনী কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয়। অন্যদিকে শিরা কেটে গেলে গল গল করে রক্ত বেরোয়।