অ্যাসকোমাইসিটিস (Ascomycetes) :
অ্যাসকোমাইসিটিসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল অ্যাসকাস, যা একটি ছোট, গোলাকার কোষ যাতে সাধারণত আটটি ছত্রাকজনিত ডিম থাকে। অ্যাসকাসগুলি সাধারণত অ্যাসকোরিয়াম নামে পরিচিত একটি কাঠামোর মধ্যে পাওয়া যায়, যা সাধারণত ছত্রাকের শরীরের উপরে পাওয়া যায়। অ্যাসকোমাইসিসের কিছু উদাহরণ হল ব্রেডমোল্ড, ঈস্ট এবং মাশরুম।
ব্যাসিডিওমাইসিটিস (Basidiomycetes) :
ব্যাসিডিওমাইসিটিসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল ব্যাসিডিওকার্প, যা একটি কাঠামো যা সাধারণত ছত্রাকের শরীরের উপরে পাওয়া যায়। ব্যাসিডিওকার্পগুলিতে সাধারণত ব্যাসিডিওগুলি পাওয়া যায়, যা ছোট, কাঠির মতো কাঠামো যাতে সাধারণত আটটি ছত্রাকজনিত ডিম থাকে। ব্যাসিডিওমাইসিসের কিছু উদাহরণ হল ফুঙ্গাস, মাশরুম এবং মাশরুম।
অ্যাসকোমাইসিটিস ও ব্যাসিডিওমাইসিটিসের মধ্যে পার্থক্যঃ
অ্যাসকোমাইসিটিস এবং ব্যাসিডিওমাইসিটিস দুটি বৃহৎ গোষ্ঠীর ছত্রাক যা তাদের বংশাণু এবং শারীরবৃত্তির ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলি উভয়ই ছত্রাক রাজ্যের অংশ, এবং এগুলি প্রায়শই একসাথে হেটেরোফাইটিক ছত্রাক হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যার অর্থ তারা মৃত এবং পচে যাওয়া উদ্ভিদ এবং প্রাণী থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে।
১। অ্যাসকোমাইসিটিসের বৈশিষ্ট্যগত প্রজনন কাঠামো হল অ্যাসকাস। অন্যদিকে, বেসিডিওমাইসিটিসের হল বেসিডিয়াম।
২। অ্যাসিটোমাইসেটিসে বেসিডিওমাইসিটিসের চেয়ে বেশি পরিচিত ছত্রাকের প্রজাতি রয়েছে।
৩। বেসিডিওমাইসিটে স্পোরগুলি বাহ্যিকভাবে বেসিডিয়ামের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্যদিকে, অ্যাসকোমাইসিটে স্পোরগুলি অ্যাসকাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হয়।
৪। বেসিডিওমাইসিটে বেসিডিয়া বেসিডিওকার্পের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্যদিকে, অ্যাসকোমাইসেটে, অ্যাসকি অ্যাসকোকার্পের সাথে সংযুক্ত থাকে।
৫। ব্যাসিডিওমাইসিটিসের স্পোরকে বেসিডিওস্পোর বলে। অন্যদিকে, অ্যাসকোমাইসিটিস তাদের স্পোর হিসাবে কনিডিয়া এবং অ্যাসকাসপোর উভয়ই উত্পাদন করতে পারে।
৬। বেসিডিওমাইসিটিসের বিপরীতে অ্যাসকোমাইসিটে এককোষী ছত্রাকের প্রজাতি আছে যাকে ইস্ট বলা হয়।
৭। বেসিডিওমাইসেটিসে যৌন প্রজনন উপস্থিত থাকে। অন্যদিকে, অ্যাসকোমাইসেটিসে যৌন এবং অযৌন প্রজনন পদ্ধতি উভয়ই উপস্থিত থাকে।