স্তম্ভ নকশা (Bar Diagram):
একই প্রস্থ বা প্রসার বিশিষ্ট কতক গুলো উলম্ব স্তম্ভ বা আয়তক্ষেত্র এঁকে স্তম্ভ নকশা তৈরি করতে হয়। প্রতিটি স্তম্ভ সমান দূরত্বে আঁকা হয়। আয়তক্ষেত্র বা স্তম্ভ দেখতে অনেকটা দন্ডের মতো বলে একটি স্তম্ভের দূরত্ব সাধারণ স্তম্ভের প্রস্থের অর্ধেক হয়। অনেকে একে দন্ড নকশা বলে। স্তম্ভের উচ্চতা তথ্যের অনুপাতে ঠিক করতে হয়। এই নকশা স্থান, কাল অথবা গুণগত শ্রেণীবিভাগ থেকে উদ্ভূত সকল তথ্যমালার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
আয়তলেখ (Histogram):
গণসংখ্যা নিবেশনকে চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা জন্য আয়তলেখ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। অবিচ্ছিন্ন গণসংখ্যা নিবেশনকে এ চিত্রের মাধ্যমে আঁকা যায়। আয়তলেখ অংকন করতে ছক কাগজের X অক্ষের দিকে শ্রেণীর নিম্নসীমা এবং Y অক্ষের দিকে ঐ শ্রেণীর গণসংখ্যা নিতে হয়। যে চিত্রে কোন চলকের গণসংখ্যা নিবেশন কত গুলো পাশাপাশি অংকিত আয়তক্ষেত্র দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে
আয়তলেখ বলে। আয়তক্ষেত্রের ভূমি হবে শ্রেণী ব্যবধানের দৈঘ্যের সমান। প্রতিটি আয়তক্ষেত্রের মধ্যে কোন ফাঁক থাকে না।
স্তম্ভ নকশা এবং আয়তলেখের মধ্যে পার্থক্য:
একই প্রস্থ বা প্রসার বিশিষ্ট কতক গুলো উলম্ব স্তম্ভ বা আয়তক্ষেত্র এঁকে স্তম্ভ নকশা তৈরি করতে হয়। স্তম্ভ নকশা এবং আয়তলেখের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলঃ
১। স্তম্ভ নকশা গুণগত অথবা পরিমাণগত উভয় চলক এর জন্য অংকন করা যায়। অন্যদিকে আয়তলেখ কেবলমাত্র
চলক থেকে উদ্ভূত গণসংখ্যা নিবেশনের জন্য করা যায়।
২। স্তম্ভ নকশায় বিভিন্ন স্তম্ভের মাঝে ফাঁক থাকে। অন্যদিকে আয়তগুলো বিভিন্ন আয়তক্ষেত্র পাশাপাশি থাকে।
৩। স্তম্ভ নকশার সকল ̄স্তম্ভের ভূমির দৈর্ঘ্য সমান থাকে। অন্যদিকে শ্রেণী ব্যবধান অসমান হলে আয়তলেখের
আয়তক্ষেত্রে ভূমি দৈর্ঘ্য অসমান হতে পারে।
৪। স্তম্ভ নকশায় ̄স্তম্ভ দৈঘ্যের বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে আয়তলেখে আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয়ই
বিবেচনা করা হয়।