অন্ধ বিন্দু:
যে বিন্দুতে রেটিনা ও অপটিক নার্ভ মিলিত হয় এবং যেখানে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না, তাকে ব্লাইণ্ড স্পট বা অন্ধবিন্দু বলে। অন্ধবিন্দু(Blind spot) হল চোখের দৃষ্টিপটের মাঝামাঝি অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র অংশ যা আমরা আসলে দেখতে পাইনা কিন্তু চোখের অনবরত সামান্য নড়া চড়ার (মাইক্রো-স্যাক্ক্যাড) জন্য ক্ষণিক আগের সেই অংশটির ও তার আশেপাশের দৃশ্য দিয়ে মনের মধ্যে ভরাট করে নিই তাই এর অস্তিত্ব টের পাই না।
অন্য চোখের শারীরবৃত্তীয় অন্ধবিন্দু: শারীরস্থানিক অন্ধবিন্দু বা অপটিক ডিস্ক হল চক্ষুগোলকের সঙ্গে চক্ষুস্নায়ুর সংযোগস্থল, যেখান থেকে গ্যাংলিয়ন কোষ স্নায়ুতন্তুগুলো চোখ থেকে বের হয়ে চক্ষু স্নায়ু গঠন করে। এখানে আলোক সংবেদী রড ও কোণ কোষগুলি নেই তাই এখানে রেটিনা কোন আলোক চিত্র গঠন করে না তাই এই বিশেষ অন্ধবিন্দুটি একটি শারীরবৃত্তীয় অন্ধবিন্দু। শারীরস্থানিক অন্ধবিন্দু চক্ষুগোলকের ফোভিয়ার কাছকাছি, একই তলে কিন্তু একটু নাকের দিকে অবস্থিত।
পীত বিন্দু:
চোখের রেটিনাতে পেছনের দিকে অবস্থিত একটি স্থান যেখানে সকল স্নায়ুর কোষ সংযুক্ত বা বেরি মস্তিষ্কে যায়। ঐ স্থানের অতি ক্ষুদ্রতম স্থানে আলোক সংবেদী কোষ থাকেনা তাই এখানে দর্শন সেন্স সৃষ্টি হয়না এই সংকির্ণ স্থানকে পিত বিন্দু বলে। রেটিনার যে অংশটিতে অধিক পরিমাণে কোন কোষ থাকায় কোনাে বস্তুর সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তাকে পীতবিন্দু বা ইয়ােলাে স্পট বা ফোভিয়া সেন্ট্রালিস বলে। .
অন্ধ বিন্দু ও পীত বিন্দুর মধ্যে পার্থক্য:
চোখের রেটিনাতে পেছনের দিকে অবস্থিত একটি স্থান যেখানে সকল স্নায়ুর কোষ সংযুক্ত বা বেরি মস্তিষ্কে যায়। অন্ধ বিন্দু ও পীত বিন্দুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর সংযোগ স্থলে অন্ধ বিন্দু অবস্থিত। অন্যদিকে অতি ক্ষুদ্রতম স্থানে আলোক সংবেদী কোষ থাকেনা তাই এখানে দর্শন সেন্স সৃষ্টি হয়না এই সংকির্ণ স্থানকে পিত বিন্দু বলে।
২। অন্ধ বিন্দুতে রড কোষ ও কোণ কোষ কোনটিই থাকে না। অন্যদিকে পীত বিন্দুতে কেবল কোণ কোষ অবস্থিত ।
৩। অন্ধবিন্দু বর্ণহীন। অন্যদিকে পীত বিন্দু পীত বর্ণের হয়।
৪। অন্ধ বিন্দুতে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। অন্যদিকে পীত বিন্দুতে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ।