ক্যালভিন চক্র (Calvin cycle):
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মেলভিন ক্যালভিন ও তার সহকর্মীরা (১৯৪৭-১৯৪৯) তেজষ্ক্রিয় কার্বন (14C-কার্বনের আইসোটোপ) ব্যবহার করে সন্ধানী পদ্ধতিতে Chlorella নামক এককোষী শৈবালে কার্বন বিজারণেরযে চক্রাকার গতিপথ আবিষ্কার করেন তাকে ক্যালভিন চক্র বলা হয়। কার্বন বিজারণচক্র আবিষ্কারের জন্য ক্যালভিন (১৯৬১) নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট তাই এ চক্রকে C3 চক্রও বলা হয়। যেসব উদ্ভিদে C3 চক্র বর্তমান তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলা হয়। পৃথিবীর অধিকাংশ উদ্ভিদই C3 উদ্ভিদ। যেমন-ধান, গম, পাট, বে ̧ন, টমেটো ইত্যাদি।
হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্র (Hatch and Slack cycle):
দু’জন অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী M. D. Hatch এবং C. R. Slack (১৯৬৬) ইক্ষু উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার সময় দেখান যে, সালোকসংশ্লেষণের সময় এদের প্রথম স্থায়ী পদার্থ চার-কার্বনবিশিষ্ট। এ চার কার্বনবিশিষ্ট পদার্থসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড। তাদের নাম অনুযায়ী সালোকসংশ্লেষণের এ চক্রকে হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্র বলা হয়। যেহেতু এ উদ্ভিদে প্রথম স্থায়ী পদার্থ চার কার্বনবিশিষ্ট সেহেতু হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্রকে C4 চক্রও বলা হয় এবং যে সব উদ্ভিদে এ চক্র চলে তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলা হয়। ইক্ষু, ভুট্টা, মুথা ঘাস, কাটানটে, ডাটাশাক ইত্যাদি C4 উদ্ভিদ।
ক্যালভিন চক্র ও হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্রের মধ্যে পার্থক্যঃ
ক্যালভিন চক্র ও হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্রের মধ্যে কিছু টা মিল থাকলেও এদের মধ্যে অনেকাংশে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ক্যালভিন চক্র ও হ্যাচ এন্ড স্ল্যাক চক্রের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-