Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

আদমশুমারি ও নমুনা জরীপের মধ্যে পার্থক্য

আদমশুমারি জরীপ (Census Survey):
কোন অনুসন্ধানে সমগ্রকের প্রতিটি একক সম্বন্ধে তথ্যসংগ্রহ করাকে শুমারি জরিপ বলে। তথ্যবিশ্বের প্রতিটি উপাদান গণনা করাকে বলা হয় শুমারি। অর্থাৎ শুমারির ক্ষেত্রে তথ্যবিশ্বের প্রতিটি উপাদান (ব্যক্তি, পরিবার, দোকান, খামার, কারখানা ইত্যাদি) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা পদ্ধতি হচ্ছে শুমারি। বিভিন্ন ধরনের শুমারি হয়ে থাকে। যেমন- আদম শুমারি, কৃষি শুমারি ইত্যাদি। কোন দেশের আদম শুমারি বলতে কোন নির্দিষ্ট সময়ে ঐ দেশের সকল লোক গণনা এবং লোকদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের তথ্য সংগ্রহ বুঝায়।

কৃষি শুমারি বলতে কোন দেশের সর্বমোট কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ, কি পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশু আছে, কোন বিশেষ ফসল কত পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয় ইত্যাদি বুঝায়।

নমুনা জরীপ (Sample Survey):
তথ্যবিশ্বের সকল উপাদানের তথ্য ব্যবহার না করে, কিছু সংখ্যক উপাদানের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ বিষয়টির উপর তথ্য নেওয়াকে নমুনায়ন বলে। আর নমুনা সংগ্রহের জন্য যে জরীপ কাজ পরিচালনা করা হয় তাকে নমুনা জরীপ বলে। নমুনা জরীপের জন্য কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়নে কতগুলো ধাপ বা পর্যায় সম্পন্ন করা হয়।

আদমশুমারি ও নমুনা জরীপের মধ্যে পার্থক্যঃ
কোন অনুসন্ধানে সমগ্রকের প্রতিটি একক সম্বন্ধে তথ্যসংগ্রহ করাকে শুমারি জরিপ বলে। আদমশুমারি ও নমুনা জরীপের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

১। তথ্যবিশ্বের প্রতিটি উপাদান গণনা করাকে শুমারী জরীপ বলে। অন্যদিকে, তথ্যবিশ্বের প্রতিটি উপাদান গণনা না করে নমুনা থেকে তথ্য সংগ্রহকারিকে নমুনা জরীপ বলে।

২। শুমারী জরীপের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে, নমুনা জরীপে প্রকৃত তথ্যের কাছাকাছি তথ্য পাওয়া যায়।

৩। অর্থ ও জনবল অধিক পরিমানে পয়োজন। অন্যদিকে, অর্থ ও অল্প জনবল প্রয়োজন।

৪। তথ্যবিশ্বের আকার ছোট হলে শুমারী জরীপ করা সহজ। অন্যদিকে, তথ্যবিশ্বের আকার ছোট হলে নমুনা জরীপের দরকার নেই।

Exit mobile version