দুধ মানুষের খাদ্যতালিকার একটি প্রধান অংশ। আমাদের দেশে গরু ও মহিষের দুধ পানীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। গরু নাকি মহিষের দুধ বেশি পুষ্টিকর? এদের উভয়ের গুনগত বেশি মিল থাকলেও কিছু কিছু পুষ্টি গুণে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নিচে গরু ও মোষের দুধের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
গরু ও মোষের দুধের মধ্যে পার্থক্যঃ
মহিষের দুধের তুলনায় গরুর দুধে কম ফ্যাট থাকে। তাই মহিষের দুধ গরুর দুধ থেকে বেশি ঘন। উল্টো দিকে গরুর দুধে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এতে তুলনায় পাতলা। এবং এটি শরীরে পানির অভাব মেটায় খপব সহজে- জানিয়েছেন নিউট্রিশনিস্ট নিম্মি আগরওয়াল। নিম্মির কথায়, ‘মহিষের দুধে প্রতি ১০০ মিলিতে ফ্যাট থাকে সাত গ্রাম। গরুর দুধে প্রতি ১০০ মিলিতে চার গ্রাম ফ্যাট থাকে। গরুর থেকে মহিষের দুধে ক্যালোরিও বেশি।’
১০০ মিলি মহিষের দুধে ১০০ ক্যালোরি থাকে। যেখানে গরুর দুধে ক্যালোরির পরিমাণ ৬৮-৭০ ক্যালোরি। এছাড়াও, গরুর দুধ সালফার সমৃদ্ধ। আর রয়েছে হলুদ রঙের বিটা ক্যারোটিন। যা মহিষের দুধে নেই। এবং এগুলি শরীরের পুষ্টির পাশাপাশি মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে। যারা ওবেসিটি এড়াতে চান তারা অবশ্যই গরুর দুধ ডায়েটে রাখবেন। একই সঙ্গে এটি পাতলা হওয়ায় সহজপাচ্য। যেকোনো বয়সের মানুষ তাই এই দুধ নিয়মিত খেতে পারেন। তবে দুধের ল্যাকটোজে অ্যালার্জি হয় অনেকেরই। তাই যাদের এই সমস্যা নেই তারা নিয়মিত দুধ খেতে পারেন। এতে শরীর পুষ্ট হবে। মজবুত হবে হাড়, দাঁত। তবে হজমের সমস্যা থাকলে মহিষের বদলে গরুর দুধই বেছে নিন।
মোষের দুধে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম বর্তমান কিন্তু ভিটামিন তা মেলে গরুর দুধ থেকে। তবে, উভয়ই পুষ্টিগুণে পূর্ণ তো কোনটা খাবেন সেটা আপনার স্বাদের উপর নির্ভর করে। যেমন- যদি আপনার চর্বির পরিমাণ কমাতে চান তবে গরুর দুধ পান করুন। যদি আপনি দই, পনির, মাখন তৈরি করতে চান তবে মোষের দুধ ব্যবহার করুন। যদি আপনার ল্যাকটোজ intolerance থাকে তবে মোষের দুধ পান করতে পারেন। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে গরুর দুধ পান করুন।