কুমির (Crocodilians)
কুমির (Crocodilians) হল একপ্রকার জলচর চতুষ্পদ প্রাণী। এগুলিকে দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে। কুমির, অ্যালিগেটর ও ঘড়িয়ালরা সাধারণ দৃষ্টিতে একই রকম দেখতে হলেও, জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এরা পৃথক বর্গের অন্তর্গত। ঘড়িয়ালের মুখের ডগার কাছটি গোলাকার। তবে অ্যালিগেটর ও কুমিরকে পৃথক করা একটু কঠিন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে কুমিরের মাথাটি সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। অ্যালিগেটরের মুখটি অনেকটা ইংরেজি ইউ (U) আকৃতিবিশিষ্ট এবং কুমিরের মুখটি ইংরেজি ভি (V) আকৃতিবিশিষ্ট হয়। কুমিরের উপরের ও নিচের চোয়াল দুটির প্রস্থ এক এবং নিচের চোয়ালের দাঁতগুলি মুখ বন্ধ থাকা অবস্থায় উপরের চোয়ালের দাঁতগুলির উপরে থাকে। ফলে দাঁতগুলি ওই অবস্থায় দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্য অ্যালিগেটরের নেই। একই বর্গের অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় কুমির অনেক বেশি উগ্র হয়। সব ধরনের কুমিরই আকৃতি ও জীববিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে একই রকম। কিন্তু তাদের আকার, প্রকৃতি, আচরণ ও বাসস্থানের ধরন প্রজাতি অনুসারে বিভিন্ন হয়। যদিও এই সব ব্যাপারে তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও দেখা যায়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী। এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবনাক্ত ও লবনাক্ত জলেও বাস করে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীই এদের খাদ্য।
কচ্ছপ (Turtles):
কচ্ছপ (Turtles) এক ধরনের সরীসৃপ যারা জল এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে । এদের শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে যা তাদের শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রক্ষা করে। কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও বর্তমান এমন প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি পৃথিবীতে রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আহার্য হিসেবে গ্রহণের কারণে এটি বিলুপ্তির পথে। কচ্ছপ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তা নিজের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে, সাধারণত এ ধরনের প্রাণীদের ঠান্ডা-রক্তের প্রাণী বলে অভিহিত করা হয়। অন্যান্য প্রাণীর মত এরা নিশ্বাস গ্রহণ করে। কচ্ছপের অনেক প্রজাতি পানিতে বা পানির আশেপাশে বাস করলেও এরা ডাঙায় ডিম ছাড়ে। কচ্ছপ (Tortoise) Testudines বর্গের অন্তর্গত ডাঙ্গায় বসবাসকারী সরীসৃপ। এদের দেহ খোলসদ্বারা আবৃত থাকে। খোলসের উপরের অংশকে Carapace(ক্যারাপেস) এবং নিচের অংশকে Plastron(প্লাসট্রন )বলে।এরা কয়েক সে.মি. থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। এরা সাধারণত দিবাচর প্রাণী তবে তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তারা গোধূলীতেও সক্রিয় হয়ে থাকে। তারা সাধারণত দলবদ্ধ প্রাণী নয় এবং একাকি জীবন যাপন করে থাকে। যদিও “Tortoise” শব্দটি জীববিজ্ঞানীরা Testudinidae গোত্রের প্রাণীদের বোঝাতে ব্যবহার করে থাকেন তবে সাধারনভাবে ডাঙ্গায় বসবাসকারী Testudines দের বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কুমির ও কচ্ছপের মধ্যে পার্থক্যঃ
কুমির এবং কচ্ছপ রেপটিলিয়া শ্রেণিতে আলাদা আলাদা আদেশের অন্তর্ভুক্ত। কুমির, অ্যালিগেটর ও ঘড়িয়ালরা সাধারণ দৃষ্টিতে একই রকম দেখতে হলেও, জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এরা পৃথক বর্গের অন্তর্গত। ঘড়িয়ালের মুখের ডগার কাছটি গোলাকার। তবে অ্যালিগেটর ও কুমিরকে পৃথক করা একটু কঠিন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে কুমিরের মাথাটি সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। অ্যালিগেটরের মুখটি অনেকটা ইংরেজি ইউ (U) আকৃতিবিশিষ্ট এবং কুমিরের মুখটি ইংরেজি ভি (V) আকৃতিবিশিষ্ট হয়। ক্রোকোডিলিয়া অর্ডারটিতে কুমির, অলিগেটর, সাইমন এবং ঘড়িয়াল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাধারণত কুমিরগুলি মাংসাশী (মাংস খাওয়া) হয় এবং এগুলির শিকার দীর্ঘতর হয় এবং শক্ত আঁকড়ে ধরার জন্য ধারালো দাঁত এবং শক্ত, বর্গাকার আঁশ থাকে।
সমস্ত কুমির জমি এবং জলে বসবাসের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। জমিতে চলাচলের জন্য তাদের চারটি শক্ত পা রয়েছে; সাঁতার জন্য একটি শক্তিশালী লেজ; এবং তাদের চোখ এবং নাকের মাথাগুলি মাথার উপরে রয়েছে যাতে তারা ছেলের বাকি অংশ ডুবে থাকা অবস্থায় পানির উপরে থাকে।
অন্যদিকে কচ্ছপ এক ধরনের সরীসৃপ যারা জল এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে । এদের শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে যা তাদের শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রক্ষা করে। কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও বর্তমান এমন প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি পৃথিবীতে রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আহার্য হিসেবে গ্রহণের কারণে এটি বিলুপ্তির পথে।
অর্ডার চেলোনিয়াতে সামুদ্রিক কচ্ছপ, টেরাপিনস (মিঠা জলের কচ্ছপ) এবং কচ্ছপগুলি (স্থল কচ্ছপ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বৈশিষ্ট্যগতভাবে, চেলনিয়ানদের একটি বাহুতে শৃঙ্গাকার আচ্ছাদনযুক্ত হাড়ের শেলের সাথে সংক্ষিপ্ত, প্রশস্ত দেহ থাকে, যার মধ্যে মাথা এবং অঙ্গ প্রত্যাহার করা যায়; এবং দাঁত পরিবর্তে শৃঙ্গাকার একটি চিট। এরা সাধারণত দিবাচর প্রাণী তবে তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তারা গোধূলীতেও সক্রিয় হয়ে থাকে। তারা সাধারণত দলবদ্ধ প্রাণী নয় এবং একাকি জীবন যাপন করে থাকে। যদিও “Tortoise” শব্দটি জীববিজ্ঞানীরা Testudinidae গোত্রের প্রাণীদের বোঝাতে ব্যবহার করে থাকেন তবে সাধারনভাবে ডাঙ্গায় বসবাসকারী Testudines দের বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।