জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো: গোলাম মোস্তফা বলেন, নতুন যারা যোগ দিবেন তারা এটা জেনেই যোগ দিবেন যে, কোন পদ্ধতিতে এবং কিভাবে তারা অবসরকালীন সুবিধা পাবেন।
পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো: গোলাম মোস্তফা বিবিসি বাংলাকে বলেন, এখন যে পদ্ধতিতে পেনশন নির্ধারিত হয় সেটি হলো ‘ডিফাইন বেনিফিট সিস্টেম’ এবং এটা ‘আন ফান্ডেড’, অর্থাৎ কর্মীকে টাকা দিতে হয় না)।
‘এখন পেনশনের জন্য যে টাকা দরকার হয় সেটি সরকারই বাজেটের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়। এখানে কর্মীকে কিছু দিতে হচ্ছে না। আর নতুন স্কিম চালুর পর যারা চাকরিতে আসবেন তারা একটি পরিমাণ অর্থ জমা রাখবেন, যার সাথে সরকার সমপরিমাণ অর্থ দিবে। এ দিয়ে একটি তহবিল তৈরি হবে। সেখান থেকে বিনিয়োগ হবে এবং লভ্যাংশও যোগ হবে প্রত্যেকের অর্থের সাথে,’ বলেন তিনি।
এখানে বলে রাখা ভালো, পেনশনের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ধরন এখন কার্যকর আছে।
বর্তমানে একজন কর্মকর্তার ২৫ বছরের চাকরি জীবন শেষে তার মূল বেতনকে ২৩০ গুন করে যে মোট টাকা হবে তার ৯০ শতাংশ হলো তার মোট পেনশন। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ এককালীন পাবে যেটা গ্রাচুইটি আর বাকি অর্থ মাসিক ভিত্তিতে হবে।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা লাম্প গ্রান্ট নামে (ছুটির প্রাপ্যতার ভিত্তিতে) একটি সুবিধা পান চাকরি জীবন শেষে। এর মাধ্যমে তারা শেষ মূল বেতনের ১৮ গুণ টাকা পেয়ে থাকেন অবসর সুবিধার আওতায়।
এর বাইরে তারা প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে প্রভিডেন্ট ফান্ড হলো কর্মীর নিজের জমানো টাকা লভ্যাংশসহ পেয়ে থাকেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি সেটি তুলতে পারেন।
আবার চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো প্রয়োজন হলেও সেখান থেকে টাকা তুলতে পারেন। কর্মকর্তারা বলেন, এসব সুবিধা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সামরিক বেসামরিক ও সরকারি সব কর্মীর জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা সম্বলিত স্কিম তৈরি করাটাও অনেক বড় চ্যালেঞ্জের কাজ।