বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। কম সময়ে অনেক মানুষকে দ্রুত সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে ওমিক্রনের। তবে করোনার আগের ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সঙ্গে তুলনা করলে ওমিক্রনের উপসর্গ অনেক মৃদু বা হালকা। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়ানোর কারণে খুব দ্রুত বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ওমিক্রন ও ডেল্টার মধ্যে পার্থক্য:
ওমিক্রন ও ডেল্টা দুটোই করোনার ভ্যারিয়েন্ট, যার উৎপত্তি ২০১৯ সালের শেষে চীন থেকে। তারপর ২০২০ সালে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে আসে ডেল্টা। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৪২ জনের। এরই মধ্যে ২০২১ সালে নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসে ওমিক্রন।
ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটোই করোনার ভ্যারিয়েন্ট হলেও এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবসাদ, জয়েন্টে ব্যথা, ঠাণ্ডা, মাথা ব্যথা এই চারটি ওমিক্রনের এমন লক্ষণ, যা ডেল্টা থেকে আলাদা। এ ছাড়া স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, যা ডেল্টার অন্যতম লক্ষণ, সেটিও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
১। ওমিক্রনে শ্বাসকষ্ট নাও হতে পারে
গত সপ্তাহে, একজন চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ডেল্টার মতো ওমিক্রনে শ্বাসকষ্ট নাও হতে পারে। এর ফলে ওমিক্রনের কারণে ফুসফুস সংক্রমিত হতে পারে। এর মানে ডেল্টা সংক্রমণের কারণে অনেক মানুষ যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন নতুন রূপের ক্ষেত্রে এমন নাও হতে পারে।
২। ভ্যাকসিনের প্রভাব ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তা ডেল্টার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিরোধকারী । অন্যদিকে ওমিক্রন প্রতিরোধী নাও হতে পারে। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে তাদের নিজ নিজ ওষুধ পরীক্ষা করছে।
৩। ভালো থাকা যায় উপায়
সুস্থ এবং ফিট থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করা হলো সর্বোত্তম উপায়।