ডস (DOS):
DOS হল Disk Operating System। এখানে শুধুমাত্র একই সময়ে একটির বেশী এপ্লিকেশন প্রোগ্রামে কাজ করা যায় না বলে এটিকে Single Operating System বলা হয়। ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এক ধরণের অপারেশন সিস্টেম। উইন্ডোজ হাজির হওয়ার আগে মূলধারার অপারেটিং সিস্টেমটি ডস ছিল। 1981 থেকে 1995 পর্যন্ত, ডস আইবিএম পিসি সুসংগত মেশিন বাজারে একটি মূল অবস্থান দখল করে। এ প্রোগ্রামে সুবিধা সীমিত। এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র কী-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে সচল করা যায়। মাউসের ব্যবহার ছিল না।
এ প্রোগ্রামে সুবিধা সীমিত। এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র কী-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে সচল করা যায়। মাউসের ব্যবহার ছিল না। এ প্রোগ্রামে সুবিধা সীমিত। এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র কী-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে সচল করা যায়। মাউসের ব্যবহার ছিল না।
উইন্ডোজ (Windows):
Windows হল Multi-Operating System। একই সাথে অনেকগুলো প্রোগ্রামে কাজ করা সম্ভব এবং ব্যবহারকারী সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। মাউসের সাহায্যে ক্লিক করে করেই অনেক কাজ করা সম্ভব যা ডস অপারেটিং সিস্টেমে সম্ভব নয়। উইন্ডোজ একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ ভিত্তিক সফটওয়ার-এর সাহায্যে বর্তমানে কম্পিউটারে সকল কাজ করা হয়। উইন্ডোজ ব্যবহারের সুবিধাগুলো অনেক এবং সেগুলো উপভোগ করতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে বার বার আকৃষ্ট করে।
উইন্ডোজ অন করার পর ওপেনিং স্ক্রীনে যে সকল উপাদান দেখা যায় তা হলো – ডেস্কটপ, উইন্ডোজ ও আইকন। চারদিকে বর্ডার দেয়া সীমাবদ্ধ এ্যাপিস্নকেশন বা ডকুমেন্ট ক্ষেত্রকে উইন্ডোজ বলা হয়। একাধিক উইন্ডোকে একসাথে ব্যবহারের সুবিধা থেকেই পুরো পদ্ধতির নাম উইন্ডোজ (Windows) রাখা হয়েছে।
ডস ও উইন্ডোজের মধ্যে পার্থক্যঃ
Windows হল Multi-Operating System। একই সাথে অনেকগুলো প্রোগ্রামে কাজ করা সম্ভব। ডস ও উইন্ডোজের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হয়েছে-
১। DOS হল Disk Operating System। এখানে শুধুমাত্র একই সময়ে একটির বেশী এপ্লিকেশন প্রোগ্রামে কাজ করা যায় না বলে এটিকে Single Operating System বলা হয়। অন্যদিকে, Windows হল Multi-Operating System। একই সাথে অনেকগুলো প্রোগ্রামে কাজ করা সম্ভব এবং ব্যবহারকারী সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
২। DOS -এ এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র কী-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে সচল করা যায়। মাউসের ব্যবহার ছিল না। অন্যদিকে, Windows -এ মাউসের সাহায্যে ক্লিক করে করেই অনেক কাজ করা সম্ভব যা ডস অপারেটিং সিস্টেমে সম্ভব নয়।
৩। DOS একটি বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। অন্যদিকে, WINDOWS একটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।
৪। DOS এ বিভিন্ন কমান্ড মুখস্ত করতে হয়। অন্যদিকে, WINDOWS এ কমানড মুখস্ত করার প্রয়োজন নাই।
৫। DOS একক ইউজার ও একক প্রসেসর সমর্থন করে। অন্যদিকে, WINDOWS ইন্টারেক্টিভ এবং অধিক ইউজার ফ্রেন্ডলি।
৬। DOS এ গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, ওয়েভ ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার সুবিধা কম। অন্যদিকে, WINDOWS এ গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, ওয়েভ ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার সুবিধা রয়েছে।