ত্বকের সুস্থতায় এর আর্দ্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে দেখতে মলিন লাগে। দ্রুত বলিরেখা পড়ে। নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই ক্লিনিকের প্রশিক্ষক ও ত্বক বিশেষজ্ঞ কার্মেন ক্যাস্টিলা বলেন, “শুষ্কতা ত্বকের সুরক্ষা স্তরের দুর্বলতার সংকেত দেয়। ত্বকের সুরক্ষার স্তর নষ্ট হয়ে গেলে জ্বলুনি ও সংবেদনশীলতা দেখা দেয়।”
ডা. ক্যাস্টিলা বলেন, “ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হলে এর আর্দ্রতা বজায় থাকে। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে আলতোভাবে ত্বক মুছে নিতে হবে। ভেজা অবস্থাতেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডার্মাডক্টর’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড প্র্যতয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ অড্রি কুনিন একই প্রতিবেদনে বলেন, “তেল ভিত্তিক ক্লেঞ্জার ত্বক পরিচর্যায় আর্দ্রতা বজায় রাখার অন্যতম সহজ উপায়।” ভারী মেইকআপ, ময়লা ও তেল দূর করতে জেল বা ফোম ভিত্তিক ফেইসওয়াশের তুলনায় ভালো কাজ করে।
শুষ্ক ত্বক ও আদ্রতা হারানো ত্বকের মধ্যে পার্থক্যঃ
সাধারণত ত্বকে তৈলাক্তভাব কমে গেলেই তা রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ত্বকে ভাঁজ বা রিঙ্কল দেখা দেয়। শীতের সময়টাতে যখনই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন, তখনই তা মুহূর্তে শুষে নেবে। যেকোনো আবহাওয়াতেই এমনটা দেখা যায়।
অন্যদিকে, ডিহাইড্রেটেড স্কিন বা আদ্রতা হারানো ত্বক শীতকালে বেশি দেখা যায়। যদি কেউ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এই সময়ে ব্যবহার না করেন, তাহলে তার ত্বক ফেটে যেতে পারে। ত্বক ফেটে গেলে তাকেই আর্দ্রতা হারানো ত্বক বা ডিহাইড্রেটেড স্কিন বলছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও আরও বেশ কিছু লক্ষণ থাকে ডিহাইড্রেটেড ত্বকের।
প্রথমে ত্বকে চিমটি কাটুন। এবার লক্ষ্য করুন কতটুকু সময় পর আপনার ত্বক আগের জায়গায় ফিরে আসে। যদি স্বাভাবিক সময়ে, মানে খুব দ্রুত ত্বক আবার আগের মতো হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়েছে।
অন্যদিকে, আর যদি চামড়া আগের জায়গায় ফিরে আসতে অনেকটা সময় নেয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক আর্দ্রতা হারিয়েছে।