ডাম্পলিং (Dumpling):
ডাম্পলিং-এর হাজার বছরের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এই খাবারটি চীন থেকে এসেছে। এরপর এটি তারা এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় হয়েছে। ডাম্পলিংগুলো সাধারণত ময়দা দিয়ে মোড়ানো থাকে। যা শাকসবজি, মাংস বা উভয়ের সংমিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ভেষজ, মশলা এবং সস দিয়ে মশলা যুক্ত করা হয়। ডাম্পলিং সিদ্ধ, প্যান-ফ্রাই বা ডিপ-ফ্রাই হয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের টেক্সচার এবং স্বাদ পাওয়া যায়।
মোমো (Momo):
মোমো আবিষ্কার হয়েছে হিমালয় অঞ্চলে। বিশেষ করে তিব্বত, নেপাল এবং ভুটানে। এই খাবারটি প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনন্য স্বাদ এবং টেক্সচারের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। মোমো, ডাম্পলিং-এর তুলনায় ঘন ময়দা দিয়ে মোড়ানো হয়। এর ভিতরে মাংস বা সবজি থাকে। এগুলো আঞ্চলিক মশলা এবং ভেষজ দিয়ে আরও মজাদার করা হয়। এগুলোও সিদ্ধ, প্যান-ফ্রাই বা ডিপ-ফ্রাইয়ের হয়ে থাকে।
ডাম্পলিং এবং মোমো -এর মধ্যে পার্থক্যঃ
ম্পলিং এবং মোমো, দুইটি সুস্বাদু খাবার। আমরা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে অনেক সময় ডাম্পলিং দেখে ভাবি যে, এটাও মোমো। কিন্তু আসলেই কী তাই? ডাম্পলিং আর মোমো এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে তা নিম্নরূপ-
১। ডাম্পলিং খাবারটি চীন থেকে এসেছে। এরপর এটি তারা এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় হয়েছে। অন্যদিকে, মোমো আবিষ্কার হয়েছে হিমালয় অঞ্চলে। বিশেষ করে তিব্বত, নেপাল এবং ভুটানে।
২। ডাম্পলিং সাধারণত পাতলা এবং সূক্ষ্ম ময়দার প্রলেপ দিয়ে মোড়ানো হয়। অন্যদিকে, মোমো ঘন ময়দার প্রলেপ দিয়ে মোড়ানো হয়।
৩। ডাম্পলিং মাংস ছাড়াও সামুদ্রিক খাবার, টোফু এবং বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে তৈরি হয়। অন্যদিকে, মোমো ঐতিহ্যগতভাবে মাংস দিয়ে তৈরি হয়। যদিও আজকাল নিরামিষ এবং পনির দিয়েও তৈরি হচ্ছে।
৪। ডাম্পলিং এবং মোমোর স্বাদ কিছুটা ভিন্ন। ডাম্পলিং-এ সয়া সস, আদা, রসুন এবং তিলের তেলের মতো চীনা স্বাদ দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে, মোমোতে হিমালয়ের মশলা যেমন জিরা, ধনিয়া, হলুদ এবং স্থানীয় ভেষজের সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। তাই এদের স্বাদ আলাদা হয়ে থাকে।
৫। ডাম্পলিং এবং মোমোর সাথে যে সস পরিবেশন করা হয় তার স্বাদও আলাদা। ডাম্পলিং-এর সাথে সাধারণত সয়া-ভিত্তিক সস, ভিনেগার, মরিচের তেল বা এগুলোর সংমিশ্রণে তৈরি সস পরিবেশন করা হয়। অন্যদিকে, মোমোগুলো সাধারণত মশলাদার টমেটো-ভিত্তিক চাটনির সাথে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
৬। ডাম্পলিং এবং মোমোর উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক মূল্য ধারণ রয়েছে। চন্দ্র নববর্ষের মতো উত্সবের অনুষ্ঠানে ডাম্পলিং রান্না করা হয়। অন্যদিকে, হিমালয়ের নানা সাংস্কৃতিক কাঠামোর অনুষ্ঠানের সময় মোমো বানানো হয়।