ই-মুদ্রা (E-Currency) :
ডিজিটাল মুদ্রা (ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা বা ইলেক্ট্রনিক টাকা) একধরনের মুদ্রা, যা শুধু ডিজিটাল রূপে পাওয়া যায়, ভৌতভাবে নয় (যেমন ব্যাংক নোট বা পয়সা)। এটি ভৌত মুদ্রার অনুরূপ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, তবে এটি তাৎক্ষণিক লেনদেন এবং সীমান্তহীন মালিকানা হস্তান্তর এর সুযোগ করে দেয়। ব্যাংকে অধিকাংশ অর্থ লেনদেন কম্পিউটারে মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটাকেও এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখন কেউ বলতে পারেন যে আমাদের ক্রমবর্ধমান নগদ টাকাহীন সমাজ মানে সব মুদ্রাই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে উদাহরণস্বরূপ ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেনসি।
দিন দিন সবকিছুতেই আসতে শুরু করেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। সেই ছোঁয়াকে আরও বাড়িয়ে দিতে এবার সরকার ভাবছে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলনের কথা। যা বিশ্বে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে এ ডিজিটাল মুদ্রা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিটকয়েন, লাইটকয়েন, এথেরিয়াম, রিপলের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে এগুলো এখনো বৈধ নয়।
ইউপিআই (UPI ) :
UPI এর পুরোনাম হল Unified Payments Interface, UPI এমন একটি পেমেন্ট সিস্টেম যার দৌলতে আপনি রাত দিন সাত দিন যেকোনো সময় আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংক একাউন্টে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই টাকা আদান প্রদানের মাধ্যমে লেনদেন পক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। ইউপিআই একাউন্ট থেকে শুধু আজকাল ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়না।
ইউইপিআই একাউন্ট থেকে অন্য ইউপিআই একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা ছাড়াও ইউপিআই আইডি দিয়ে অনলাইন শপিং, মোবাইল রিচার্জ, ডিটিএইচ রিচার্জ, বীমা কোম্পানির বীমা বিল ইত্যাদি জমা করা যায়।
ই-মুদ্রা এবং UPI এর মধ্যে পার্থক্যঃ
দিন দিন সবকিছুতেই আসতে শুরু করেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। সেই ছোঁয়াকে আরও বাড়িয়ে দিতে এবার সরকার ভাবছে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলনের কথা। ই-মুদ্রা এবং UPI এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১. ই-মুদ্রা একধরনের মুদ্রা, যা শুধু ডিজিটাল রূপে পাওয়া যায়, ভৌতভাবে নয়। এটি ভৌত মুদ্রার অনুরূপ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। অন্যদিকে, UPI এমন একটি পেমেন্ট সিস্টেম যার দৌলতে আপনি রাত দিন সাত দিন যেকোনো সময় আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংক একাউন্টে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই টাকা আদান প্রদানের মাধ্যমে লেনদেন পক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
২. ই-মুদ্রা নিজেই ডিজিটাল আকারে একটি মুদ্রা এবং একটি আইনি দরপত্র যা ডিজিটাল লেনদেন সক্ষম করে। অন্যদিকে, UPI শুধুমাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে লেনদেনগুলি ডিজিটালভাবে হয়।
৩. UPI-তে বা ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যাঙ্কিং পদ্ধতি যেমন NEFT বা RTGS-এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনগুলি অবশ্যই একটি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হতে হবে। অন্যদিকে, ই-মুদ্রা ক্ষেত্রে, অর্থ এক ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে অন্যটিতে স্থানান্তরিত হয়।
৪. ই-মুদ্রার ব্যবহার অর্থপ্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারণ এটি এক ধরনের মুদ্রা। ই-রুপী একটি “অ্যাকাউন্টের একক” এবং “মূল্যের ভাণ্ডার” হওয়ার উদ্দেশ্যেও কাজ করে। অন্যদিকে, UPI হল একটি ওভারলে অবকাঠামোর মতো যে কোনো ধরনের মূল্যের স্টোরের উপরে, যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, প্রিপেইড যন্ত্র, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি।
৫. ইটি রিপোর্ট অনুসারে, বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উল্লিখিত ইউপিআই, এনইএফটি এবং আরটিজিএস-এর মতো অন্যান্য ডিজিটাল লেনদেনের তুলনায় ই-মুদ্রার লেনদেনগুলি বেশি স্বতন্ত্র।