পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের মধ্যে বেশ কিছু ভৌগোলিক, জলবায়ু, ও জীববৈচিত্র্যগত পার্থক্য রয়েছে। নিচে পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো-
পূর্ব হিমালয় (Eastern Himalaya) :
নেপালের পূর্বে হিমালয়ের যে অংশ আছে , তা পূর্ব হিমালয় নামে পরিচিত । উত্তরে হিমাদ্রি বা উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণী তিব্বতের সাথে এর সীমা নির্দেশ করে । নেপাল সীমান্তে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণী পশ্চিমে এবং অসম মায়ানমার পর্বতশ্রেণী ও লােহিত নদ যথাক্রমে পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্বের সীমা নির্দেশ করছে । দক্ষিণের সীমা সাধারণতঃ ১৫০ মিটার সমােন্নতি রেখাকে ধরা হয় । সমগ্র পূর্ব হিমালয় অঞ্চল নিম্নলিখিত তিনটি অংশে বিভক্ত । যথা – ক) সিকিম – দার্জিলিং হিমালয় , খ) ভুটান হিমালয় ও গ) অরুণাচল হিমালয় ।
পশ্চিম হিমালয় (Western Himalaya) :
পশ্চিম হিমালয়, যা পাঞ্জাব হিমালয় নামেও পরিচিত। এটি হিমালয় পর্বতের পশ্চিম অঞ্চলটিকে বোঝায়। হিমালয়ের এই অঞ্চলটি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আফগানিস্তান/দক্ষিণ তাজিকিস্তান এর বাদাখশান থেকে শুরু হয়ে কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে নেপাল পর্যন্ত বিস্তৃত। পাঞ্জাব অঞ্চল এর সিন্ধু থেকে উৎপত্ত পাঁচটি উপনদী (ঝিলাম, চেনাব, রবি, বিস, শতদ্রু) পশ্চিম হিমালয় থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের মধ্যে পার্থক্যঃ
১. নেপালের পূর্বে হিমালয়ের যে অংশ আছে , তা পূর্ব হিমালয় নামে পরিচিত । অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয়, যা পাঞ্জাব হিমালয় নামেও পরিচিত। এটি হিমালয় পর্বতের পশ্চিম অঞ্চলটিকে বোঝায়।
২. পূর্ব হিমালয়ের গড় উচ্চতা ও বিস্তার (৭২০ কিমি) অপেক্ষাকৃত কম। অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয়ের গড় উচ্চতা ও বিস্তার (৮৮০ কিমি) অপেক্ষাকৃত বেশি।
৩. পূর্ব হিমালয়ে গিরিশৃঙ্গ ও হিমবাহের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয়ের গিরিশৃঙ্গ ও হিমবাহের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি।
৪. পূর্ব হিমালয়ে হিমরেখা অপেক্ষাকৃত বেশি উচ্চতায় দেখা যায়। অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয়ে হিমরেখা অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় দেখা যায়।
৫. পূর্ব হিমালয় অধিক ঢালবিশিষ্ট এবং খাড়া ঢালযুক্ত। অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয় অপেক্ষাকৃত কম ঢালবিশিষ্ট এবং কম খাড়া ঢালযুক্ত।
৬. পূর্ব হিমালয়ে জীববৈচিত্র্য অধিক। অন্যদিকে, পশ্চিম হিমালয়ে জীববৈচিত্র্য তুলনায় কম।