ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরঃ
ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরগুলিতে সাধারণতঃ স্বল্প স্থানে অধিক ক্যাপাসিট্যান্স তৈরি হয়। এর অভ্যন্তরে ব্যবহৃত ইলেকট্রোলাইটিক অধিক ক্যাপাসিট্যান্স সৃষ্টিতে সহায়ক। এই ধরনের ক্যাপাসিটরে এলুমিনিয়াম (Al) মেটাল ফয়েল ও পাতলা ফিল্ম ডাইইলেকট্রিক পরস্পর প্যাঁচিয়ে সিলিন্ডার আকৃতির রোল তৈরি করা হয়। পরে উক্ত রোলটি বোরাক্স ইলেকট্রোলাইটিকপূর্ণ এলুমিনিয়াম পাত্রে ভর্তি করা হয় এবং পাতলা মেটাল ফয়েল হতে দুটি টার্মিনাল বের করা হয়। এই ধরনের ক্যাপাসিটরে পোলার ক্যাপাসিট্যান্স তৈরি হয়
নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরঃ
যে সকল ক্যাপাসিটর পোলাইরাজড নয় এবং যাতে পজেটিভ ও নেগেটিভ। পোলারিটি চিহ্নিত থাকে না, তাকে নন- ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর বলে। দুটো ধাতব পাতের মাঝখানে একটি অপরিবাহী মাধ্যম, যেমন- পেপার, মাইকা, সিরামিক বা পলিয়েস্টার। একটা প্লাস্টিক বা ধাতুর ক্যাপসুলের মধ্যে আবদ্ধ করে নন- ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর তৈরি করা হয়।
ইলেকট্রোলাইটিক ও নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্যঃ
ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরগুলিতে সাধারণতঃ স্বল্প স্থানে অধিক ক্যাপাসিট্যান্স তৈরি হয়। ইলেকট্রোলাইটিক ও নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর পজেটিভ (+ve) প্লেট বা ইলেকট্রোড এবং নেগেটিভ (-ve) ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট করা থাকে। অন্যদিকে নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর পজেটিভ (+ve) প্লেট বা ইলেকট্রোড এবং নেগেটিভ (-ve) ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট থাকে না।
২। ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরে ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরে ডাই- ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইড ছাড়া অন্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়।
৩। ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর শুধুমাত্র ডিসি সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর এসি, ডিসি উভয় ধরনের সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
৪। .ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর আকারে ছোট হয়ে থাকে। অন্যদিকে নন ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর তুলনামূলকভাবে আকারে বড় হয়ে থাকে।