তড়িৎযোজী যৌগ এবং সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য

তড়িৎযোজী যৌগ (Electrovalent compound):
রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় একাধিক মৌলের পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন গঠন করে এবং বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন তড়িৎ আকর্ষণের ফলে পরস্পর পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাকে তড়িৎযোজী যৌগ বলে। উদাহরণ:
ধাতব হ্যালাইড- NaCI, KCI, CaCI2, MgCI2, AICI3, ZnCI2, NaF, KF, NaBr, KI
ধাতব অক্সাইড- Na2O, K2O, MgO, CaO, ZnO, AI2O3, CuO
ধাতব সালফাইড- Na2S, K2S, MgS,ZnS CaS
অন্যান্য- NaNO3, Na2SO4, Na2CO3, MgCO3, NaH, CaH2

সমযোজী যৌগ (Covalent compound):
নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের ন্যায় সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের চেষ্টায় একই বা ভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলি তাদের সর্ববহিস্থ কক্ষের এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সমভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে পরমাণু গুলির যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে সমযোজ্যতা বলে। এইভাবে গঠিত যৌগকে সমযোজী যৌগ বলে ।

প্রধানত সমযোজী যৌগের বাঁধাই গঠনের, সমযোজী যৌগের বলা এবং গঠন একত্রিত অ ধাতব উপাদানের বিভিন্ন ধরণের অধিকাংশ জৈব পরমাণু যেমন CO2, ClO2, B2H6, BF3, NCl3, ইত্যাদি। যৌগ সব যৌগিক সমযোজী অন্তর্গত। সমযোজী যৌগের সাধারণত একটি পৃথক অণু আছে। বিন্দু যৌগ সাধারণত সমযোজী হয় গলন, নিম্ন ফুটন্ত পানিতে অদ্রবণীয়, অ পরিবাহী গলিত রাষ্ট্র, কম কঠোরতা কিছু আয়নের যৌগিক এছাড়াও covalently আবদ্ধ অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে।

যেমন- NaOH অণু উভয় আয়নের বন্ড সমযোজী বন্ধন আছে। সসীম অণুতে covalently থেকে জোড়া হয়, এবং অণুর মধ্যে Van Der Waals বাহিনী কর্ম দ্বারা একটি স্বচ্ছ মধ্যে, এটা যেমন ক্রিস্টাল থেকে CO2, বেনজিন স্ফটিক হিসেবে আণবিক স্ফটিক, আদর্শ ঘনীভূত। আনলিমিটেড ক্রিস্টাল অণু যেমন একটি ডায়মন্ড ক্রিস্টাল, একক স্ফটিক সিলিকন, এবং সাদা সিলিকা।

তড়িৎযোজী যৌগ এবং সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্যঃ

NaOH অণু উভয় আয়নের বন্ড সমযোজী বন্ধন আছে। সসীম অণুতে covalently থেকে জোড়া হয়। তড়িৎযোজী যৌগ এবং সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১.রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় একাধিক মৌলের পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন গঠন করে এবং বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন তড়িৎ আকর্ষণের ফলে পরস্পর পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাকে তড়িৎযোজী যৌগ বলে।

অন্যদিকে, নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের ন্যায় সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের চেষ্টায় একই বা ভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলি তাদের সর্ববহিস্থ কক্ষের এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সমভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে পরমাণু গুলির যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে সমযোজ্যতা বলে।

২. তড়িৎযোজী যৌগ সাধারণত বিপরীত তড়িৎধর্মী ধাতব ও অধাতব মৌলের মিলনে গঠিত হয়। অন্যদিকে, সমযোজী যৌগ অপরা তড়িৎধর্মী অধাতব মৌলগুলির মিলনে গঠিত হয়।

৩. ধাতব ও অধাতব পরমাণু ইলেকট্র্রন বর্জন ও গ্রহণের মাধ্যমে আয়নে পরিণত হয়ে তড়িৎ আর্কষণে তড়িৎযোজী যৌগ অণু গঠন করে। অন্যদিকে, অধাতব পরমাণুগুলো ইলেকট্র্রন জোড় গঠনকরে পরস্পর যুক্ত হয়ে সমযোজী যৌগ যৌগ অণু গঠন করে।

৪. সাধারণ উষ্ণতায় কঠিন, কেলাসাকার পদার্থ। অন্যদিকে, সাধারণ উষ্ণতায় তরল বা গ্যাসীয়।

৫. তড়িৎযোজী যৌগে গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি। অন্যদিকে, সমযোজী যৌগে গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক কম।

৬. তড়িৎযোজী যৌগ সাধারণ পানিতে দ্রাব্য কিন্তু জৈব দ্রাবকে অদ্রাব্য। অন্যদিকে, সমযোজী যৌগ সাধারণ পানিতে অদ্রাব্য কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রাব্য।

৭. তড়িৎযোজী যৌগ কঠিন ও ভঙ্গুর। অন্যদিকে, সমযোজী যৌগ মোমের মত নরম