Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য

সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার

সমাক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমারেখা হলো দুই প্রকারের ত্রিভুজ মধ্যে একে অপরের থেকে বিভিন্ন মধ্যরেখা। সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য বিশেষ কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-

সমাক্ষরেখা (Equator) :
নিরক্ষরেখার উত্তরে ও দক্ষিণে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল করে অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ নিরক্ষরেখার উভয় দিকে নিরক্ষরেখা থেকে বিভিন্ন কৌণিক দূরত্বের উপর নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পৃথিবীর পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে যেসব পূর্ণবৃত্তাকার রেখা কল্পনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকটিকে অক্ষরেখা বলে। এদেরকে সমাক্ষরেখা বলে। সমাক্ষরেখাগুলো পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী এক একটি পূর্ণবৃত্ত। এরা পরস্পর সমান্তরাল তবে সমান নয়। নিরক্ষরেখা এদের মধ্যে বৃহৎ।

দ্রাঘিমারেখা (Meridian) :
সমাক্ষরেখা থেকে অবস্থান জানার জন্য পৃথিবীর দুই মেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এদেরকে দ্রাঘিমারেখা বা মধ্যরেখা বলে। ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানে মূলমধ্য রেখার সাথে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে সৃষ্ট কৌণিক দূরত্বকে দ্রাঘিমাংশ বলে। যে কাল্পনিক রেখার মাধ্যমে দ্রাঘিমাংশ প্রকাশ করা হয়, তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। অর্থাৎপৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাসমূহ দ্রাঘিমা রেখা। প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা একেকটি অর্ধবৃত্ত।

দ্রাঘিমা রেখাসমূহ পরস্পরের সমদূরত্বে অবস্থিত নয়, অর্থাৎ মেরুদ্বয়ে এই রেখা গুলো পরস্পরের সর্বাপেক্ষা নিকটে অবস্থান করে এবং নিরক্ষরেখা বরাবর সর্বাপেক্ষা দূরে অবস্থান করে।

সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্যঃ
১. নিরক্ষরেখার উত্তরে ও দক্ষিণে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল করে অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অন্যদিকে, সমাক্ষরেখা থেকে অবস্থান জানার জন্য পৃথিবীর দুই মেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এদেরকে দ্রাঘিমারেখা বলে।

২. সমাক্ষরেখা হলো ত্রিভুজের একটি বাহুর মাঝখানে অবস্থিত রেখা, যা সমান দূরত্বে থাকে এবং তার দুই পাশের বিন্দুগুলি সমান দূরত্বে অবস্থিত থাকে। অন্যদিকে, দ্রাঘিমারেখা হলো একটি ত্রিভুজের একটি শীর্ষ থেকে বিপরীত বাহুর মাঝখানে অবস্থিত রেখা, যা বিপরীত বাহুকে দুই সমান অংশে ভাগ করে।

৩. সমাক্ষরেখাগুলোর পরিধি পরস্পর অসমান। অন্যদিকে, দ্রাঘিমারেখাগুলোর পরিধি পরস্পর সমান।

৪. সমাক্ষরেখাগুলোর সর্বোচ্চ অক্ষাংশ ৯০°। অন্যদিকে, দ্রাঘিমারেখাগুলোর সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০°।

৫. নিরক্ষরেখা থেকে সমাক্ষরেখা গণনা করা হয়। অন্যদিকে, মূল মধ্যরেখা থেকে দ্রাঘিমারেখা গণনা করা হয়।

৬. একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত প্রত্যেক দেশের স্থানীয় সময় এক হয় না। অন্যদিকে, একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত প্রত্যেক দেশের স্থানীয় সময় এক হয়।

৭. একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলো একে অন্যের পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত। অন্যদিকে, একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলো একে অন্যের উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত।

Exit mobile version