ফেসিয়াল (Facial):
ফেসিয়াল বলতে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করাকে বোঝায়। ওজন হারানো, গর্ভাবস্থা বা বয়সজনিত কারণে আমাদের মুখের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে তা ঝুলে পড়তে পারে। তবে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণেই ত্বক ঝুলে পড়ছে। ত্বকের ইলাস্টিসিটি লস হওয়া প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ফেসিয়াল অবশ্যই জরুরি। তবে তা পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ ত্বক পাওয়ার জন্য। ‘ফরসা ত্বক মানেই সুন্দর নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা হচ্ছে সৌন্দর্য। আর ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে ফেসিয়াল প্রয়োজন।’
ক্লিনআপ (Cleanup):
ক্লিনআপ বা ক্লিনজিংও সৌন্দর্য প্রক্রিয়ারই অন্তর্ভুক্ত। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক মনে করা হয়। এবং এটি নিয়মিত করলে ফুসকুরি, ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কম দেখা দেয়। সাধারণত ১৫ দিনে একবার ক্লিনআপ করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যেও ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং এবং স্টিম দেওয়া হয়। এটি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়, যেখানে ফেসিয়াল করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।
ফেসিয়াল এবং ক্লিনআপের মধ্যে পার্থক্য:
ক্লিনআপ বা ক্লিনজিংও সৌন্দর্য প্রক্রিয়ারই অন্তর্ভুক্ত। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক মনে করা হয়। ফেসিয়াল এবং ক্লিনআপের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। নিয়মিত ফেস ক্লিন-আপগুলি যা প্রতি দুই সপ্তাহে করা হয় তা ময়লা, কুঁচকানো, ধ্বংসাবশেষ এবং মৃত ত্বকের কোষগুলির ত্বককে মুক্ত করতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, ফেসিয়ালগুলির মধ্যে মুখ পরিষ্কার করার মতো সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকে তবে এর মধ্যে একটি প্রশান্তিময় এবং অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত মুখের ম্যাসেজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২। ক্লিনআপের ক্ষেত্রে ফেস ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে, ফেসিয়ালের ক্ষেত্রে ফেস ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হয়।
৩। ফেসিয়াল সময় সাপেক্ষ হলেও বেশি উপকারী। তবে মাসে ১ বার ফেসিয়াল করতে পারেন। অন্যদিকে, ক্নিনআপ মাসে দু’বার করা যায়।
৪। ক্লিনআপের থেকে ফেসিয়ালে কিছু স্টেপ বেশি থাকে। যদি আপনি ঘরেই ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, স্টিম নিতে পারেন তাহলে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করালেই চলবে।
৫। ডিপ ক্লিনআপ ত্বকের মরা কোষ দূর করে। সঙ্গে ওপেন পোরস, ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডসের মতো সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।অন্যদিকে, ফেসিয়ালে ক্লিনজিংয়ের ধাপগুলো ছাড়াও ফেস ম্যাসাজ ও ফেস প্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফেস ম্যাসাজ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। বরং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।