গুণণীয়ক:
গুণণীয়ক হলো একটি সংখ্যার উত্পাদকগুলো অর্থ্যাত্ ঐ সংখ্যাকে ভাঙলে বা উত্পাদকে বিশ্লেষণ করলে যেসব সংখ্যা পাওয়া যায় তাদের সকলকে ঐ সংখ্যার গুণণীয়ক বলো ।যেমন ১৬ এর গুণণীয়কগুলো 1,২,৮,১৬ কারণ 16কে বিশ্লেষণ করলে এসব সংখ্যা পাওয়া যায় ।
গুণিতক:
গুণীতকে একটি সংখ্যা দ্বারা যে সকল সংখ্যা নিঃশেষে বিভাজ্য, সে সকল সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যাটির গুণীতক বলে। সাধারণত আমরা গুণিতক কে নামতা হিসেবে প্রকাশ করে থাকি ।যেমন 10 এর গুণিতক হবে 10,20;30;40;50;60;70;80;90;100……… এখানে মনে রাখার প্রয়োজন যে একটি সংখ্যার গুণণীয়কের সংখ্যা নির্দিষ্ট কিন্তু গুণীতক অসংখ্য ।
গুণিতক ও গুণনীয়ক-এর মধ্যে পার্থক্য:
গুণীতকে একটি সংখ্যা দ্বারা যে সকল সংখ্যা নিঃশেষে বিভাজ্য, সে সকল সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যাটির গুণীতক বলে। গুণিতক ও গুণনীয়ক-এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণিতকগুলির মধ্যে যে গুণিতকটি ক্ষুদ্রতম, তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক বলে। অন্যদিকে কয়েকটি সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক বা উৎপাদকগুলির মধ্যে যেটি গরিষ্ট(বড়ো), তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বলে।
২। ল.সা.গু শব্দের পূর্ণরুপ হল লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক। অন্যদিকে সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিকে তাদের গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক।
৩। লসাগু (গুণিতক) নির্ণয়ের দুটি পদ্ধতি যথা-
(ক) প্রত্যেক রাশি যৌগিক উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা ।
(খ) সাধারণ উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা ।
অন্যদিকে গ.সা.গু.(গুণনীয়ক) নির্ণয় এর দুটি পদ্ধতি আছে। যথা-
(ক) যৌগিক উৎপাদক বিশ্লেষণ এর দ্বারা এবং
(খ) ভাগ পদ্ধতির সাহায্যে।