ফ্যাশন (Fashion):
ফ্যাশন হচ্ছে এমন এক ধারা, যা গৃহীত হয়; কিন্তু অবহেলিত হয় না। একজন শিল্পীর বিভিন্ন শৈল্পিক ক্রিয়াকলাপের উপর ভিওি করে ফ্যাশনের উদ্ভব হয়। পোশাকের ব্যবহারের ভিন্নতা থেকে ফ্যাশন ও স্টাইল কথাটির উৎপওি। ফ্যাশন হচ্ছে যুগধর্মী স্টাইল প্রচলিত ধারায় স্থানে যা গ্রহণযোগ্য হয় ।অর্থাৎ প্রচলিত কোনো স্টাইলের ব্যাপক ব্যবহারই হচ্ছে ফ্যাশন। একটি নির্দিষ্ট সময়ে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে যে প্রবণতা প্রশংসিত হয় এবং একে অন্যকে তা অনুকরণ ও অনুসরণ করে তাই ফ্যাশন। আমরা সকলেই হাল ফ্যাশন, লেটেস্ট ডিজাইন এসব শব্দের সাথে সবাই কিম বেশি পরিচিত। এক কথায় ফ্যাশন নিয়ে সারা পৃথিবী এখন মাতোয়ারা।
স্টাইল (Style):
সৌন্দর্য বিকাশের গুপ্ত রহস্য হলো স্টাইল। স্টাইল হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা শক্তি ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রাকশ। ব্যক্তির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত নক্সাই (Design) হচ্ছে স্টাইল। প্রত্যেকেরই পোশাক পরিধান করার নিজস্ব কৌশল আছে। সে কৌশলকে স্টাইল বলে। কিছু কিছু স্টাইল মানুষের মাঝে একাধিকবার ফ্যাশন হয়ে ফিরে আসতে পারে।মানুষ তার এক ঘেয়েমি পরিবর্তনের জন্য একই স্টাইল শুধুমাত্র রং কিংবা রেখা বৈচিত্ত্যর মাধ্যমে নতুনত্বে ফিরে আসে।
ফ্যাশন এবং স্টাইলের মধ্যে পার্থক্য:
সৌন্দর্য বিকাশের গুপ্ত রহস্য হলো স্টাইল। স্টাইল হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা শক্তি ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রাকশ। ফ্যাশন এবং স্টাইলের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। একজন শিল্পীর বিভিন্ন শৈল্পিক ক্রিয়াকলাপের উপর ভিওি করে ফ্যাশনের উদ্ভব হয়। অন্যদিকে, স্টাইল হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা শক্তি ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রাকশ।
২। ফ্যাশন হলো – যা মোটেও বাক্তিগত কিছুনা যা, প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে এবং এইটা মোটেও কনস্ট্যান্ট না এবং কিছু মানুষ খুব ধৈর্যের সাথে সেই ফ্যাসনগুলো অনুকরণ করে তা টিকিয়ে রাখছে। অন্যদিকে, স্টাইল হলো বাক্তিগত বিষয় ,যার দ্বারা একটা চরিত্র,চিন্তা ভাবনা অনেক কিছু বের করে ফেলা যায় ! আর এইটা মোটামুটি কাপড়-চোপর, অঙ্গভঙ্গি বা বডি ল্যান্গুয়াজ সবকিছুই এর সাথে জড়িত।
৩। ফ্যাশন নিজস্ব সমাজ থেকে উত্থান হতে পারে অথবা অন্য সমাজ বা সংস্কৃতি থেকে আসতে পারে। অন্যদিকে, স্টাইল হলো ব্যক্তির ব্যক্তিগত সৃজনশীলতা ও প্রতিভার ফল।
৪। যদিও ফ্যাশন দীর্ঘস্থায়ী হয়না তবে কোনো সময় স্থায়িত্ব লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, স্টাইল দীর্ঘস্থায়ী।