লেখাকে প্রধানত দু ভাগে ভাগ করা যায়—ফিকশন ও নন-ফিকশন। প্রথমটিতে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, নাটক, কাব্য, রোমান্স কাহিনি ইত্যাদি কল্পিত লেখা, আর দ্বিতীয়টি প্রকৃত তথ্যভিত্তিক লেখা এবং কখনো দৃষ্টিভঙ্গিগত ভিন্নতা থাকলেও কল্পিত কিছু নয় ও যাচাইযোগ্য। ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্য দুটি বিভিন্ন ধরণের সাহিত্য যা পার্থক্যের দিকে দেখায়। নিচে ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
ফিকশন সাহিত্য (Fiction Literature) :
আগেই জেনেছেন ফিকশন অর্থ কাল্পনিক। অর্থাৎ, যে সাহিত্যের উপাদানগুলো কাল্পনিক ভাবনা থেকে আসে, সেগুলোকে ফিকশন বলে। সাহিত্যে ফিকশন উপন্যাস পাওয়া যায়, আর দেখা যায় নাটক ও গল্প। ফিকশন বা কাল্পনিক সাহিত্যে উপাদান গুলো যেকোনো বাস্তব উপাদানের ভিত্তিতেও কল্পনায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় ফিকশনটি বা কল্পনাকি বৈজ্ঞানিক হতে পারে, কিংবা অন্ধবিশ্বাস হতে পারে, হতে পারে একদম শুদ্ধ কল্পনাও; যাতে বাস্তবের কোনই উপাদান নেই।
ফিকশন সাহিত্য মানুষের কল্পনা শক্তিকে বাড়ায়ে দেয়। মানুষ তাঁর ভাবনার ভেতরে সাজাতে এবং বানাতে পারে নিজস্ব জগৎ। কাল্পনিক সাহিত্যের বিষয় কাল্পনিক হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো মূলত বাস্তবের মানুষের জন্যই লেখা হয়। তাতে বেশির ভাগ সময় দর্শনই খুঁজে পাওয়া যায়, খুঁজে পাওয়া যায় নরতুন ভাবনা যা বাস্তব নয় তবে দেখায় এক নতুন বাস্তবের সত্তা।
নন-ফিকশন সাহিত্য (Non-fiction Literature) :
কেমব্রিজ ডিকশনারির সংজ্ঞা অনুযায়ী, কল্পনাপ্রসূত গল্প নয় বরং সত্যিকার বা প্রকৃত ঘটনার ওপর লেখাকে নন-ফিকশন বলা হয়। নন-ফিকশন এমন একটা শব্দ যা প্রকৃত মানুষ বা সম্প্রদায়, স্থান, বস্তু বা ঘটনা ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে তথ্য সংবলিত গদ্যরচনা। তবে সংবাদপত্রের রচনা, শিক্ষণসামগ্রী ও এনসাইক্লোপিডিয়ার লেখাও নন-ফিকশনের মধ্যে পড়ে। আবার জীবনচরিত, ইতিহাস গ্রন্থ এমনকি ভ্রমণ নির্দেশিকাকেও নন-ফিকশন বলা যায়, কারণ এগুলি হলো প্রকৃত ঘটনা নিয়ে লেখার একটি জনপ্রিয় রীতি।
ফিকশন ও নন-ফিকশন সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্যঃ
১. কল্পনাপ্রসূত গল্প, চরিত্র এবং ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত সাহিত্য সমূহকে ফিকশন সাহিত্য বলা হয়। অন্যদিকে, কল্পনাপ্রসূত গল্প নয় বরং সত্যিকার বা প্রকৃত ঘটনার ওপর লেখাকে নন-ফিকশন বলা হয়।
২. ফিকশন সাহিত্য কাহিনী নিয়ে হয়, যা লেখকের মস্তিষ্কের উত্সাহিত আবিষ্কার, চমক এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করে। অন্যদিকে, নন-ফিকশন সাহিত্য সাধারণত তথ্য বা তত্ত্ব নিয়ে লেখা হয়, যা প্রায়ই নিজস্ব অধ্যয়ন এবং গবেষণার ফলাফলে ভিত্তি করে।
৩. ফিকশন সাহিত্যে লেখক কাহিনীতে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে একটি কাহিনী বা গল্প তৈরি করে। অন্যদিকে, সেই বিষয়ে নন-ফিকশন সাহিত্য সাধারণত তত্ত্ব, তথ্য এবং ঘটনার উপর ভিত্তি করে এবং লেখকের নিজস্ব অভিজ্ঞতায় ভিত্তি করে।
৪. ফিকশন সাহিত্য সাধারণত পাঠকদেরকে মনোযোগ ধরায় এবং উদ্দীপনা দেয়, সাধারণত ভাবমূলক এবং নিয়ামকমূলক ভাবে। অন্যদিকে, নন-ফিকশন সাহিত্য পাঠকদের তথ্য সরবরাহ করে এবং অধিক শিক্ষা বা তত্ত্বাবধায়ক উদ্দীপনা দেয়।
৫. ফিকশন সাহিত্য সাধারণত স্থানান্তর করে, যেখানে স্থিতিশীল নয়, নিয়মবদ্ধ নয়, এবং লেখকের মস্তিষ্কের উদাহরণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, নন-ফিকশন সাহিত্য সাধারণত নিয়মমালা এবং স্থিতিশীল হয়, সাধারণত উপাত্তগুলি ব্যবহার করে এবং ব্যাখ্যামূলক হতে সাধারণত দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে না।
৬. ফিকশন সাহিত্য সাধারণত উদ্দীপনার আদর্শ বা বিষয় দিয়ে লেখা হয়, যা একটি কাহিনীর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে, নন-ফিকশন সাহিত্য সাধারণত অব্যাহত অবস্থ