“ফিয়র্ড” একটিই শব্দ, এবং এর বাংলা অর্থ হল হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে তৈরি একটি লম্বা, সংকীর্ণ সমুদ্র উপকূলবর্তী উপত্যকা। সাধারণত ফিয়র্ড খুব গভীর হয় এবং এর পাশে উঁচু উঁচু পাহাড় থাকে। ”ফিয়র্ড” অংশ অপেক্ষাকৃত ছোটো ও কম গভীর হলে তাকে ফিয়ার্ড বলে। নিচে ফিয়র্ড ও ফিয়ার্ডের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
ফিয়র্ড ও ফিয়ার্ডের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। শীতপ্রধান অঞলের উপকূলভাগে হিমবাহসৃষ্ট সুগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে ডুবে থাকলে, তাকে ফিয়র্ড বলে। অন্যদিকে, শীতপ্রধান অঞ্চলের উপকূলভাগে হিমবাহসৃষ্ট অগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হলে তাকে ফিয়ার্ড বলে।
২। ফিয়র্ড খুব গভীর হয়। অন্যদিকে, ফিয়ার্ডের গভীরতা কম হয়।
৩। ফিয়র্ডের দৈর্ঘ্য বেশি হয়। অন্যদিকে, ফিয়ার্ডের দৈর্ঘ্য কম হয়।
৪। ফিয়র্ডের পার্শ্বদেশ খুব খাড়া হয়। অন্যদিকে, ফিয়ার্ডের পার্শ্বদেশের ঢাল তুলনামূলকভাবে কম হয়।
৫। নীচু উপকূলে ফিয়ার্ড গঠিত হয়। নরওয়ে হল ফিয়র্ড-এর দেশ। অপরদিকে, সুইডেনে ফিয়র্ড অপেক্ষা ফিয়ার্ডের সংখ্যা বেশি। নরওয়ের সোজনে পৃথিবীর গভীরতম এবং গ্রিনল্যান্ডের স্কোরেসবি পৃথিবীর দীর্ঘতম ফিয়র্ড।