খাদ্য শস্য (Food Crops):
খাদ্য শস্য বলতে সে সব কৃষিজাত পণ্যকে বুঝায় যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে এসব শস্য ব্যবহৃত হয়। তবে দেশের জনগণের চাহিদা মেটানোর পর যদি কিছু উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে বিদেশে তা রপ্তানি করা হয়। যেমন- ধান, গম, যব, ভুট্টা, আলু ইত্যাদি বাংলাদেশের প্রদান খাদ্য শস্য।
অর্থকরী ফসল (Cash Crops):
অর্থকরী শস্য বা ফসল বলতে সেসব শস্য বা ফসলকে বুঝায় যা মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপন্ন করা হয়। সাধারণত উৎপাদনকারিগণ এসব শস্য দেশীয় বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের জন্য বিদেশেও এসব শস্য রপ্তানী করা হয়। যেমন- পাট, তুলা, তামাক, চা ইত্যাদি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকলি ফসল।
খাদ্য শস্য ও অর্থকরী ফসলের মধ্যে পার্থক্যঃ
কোন শস্য যখন কোন দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটায় তখন খাদ্য শস্য। যখন যখন মুনাফা অর্জনের জন্য উৎপাদন করে তখন অর্থকরী ফসল। খাদ্য শস্য ও অর্থকরী ফসলের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। খাদ্য শস্য বলতে সে সব কৃষিজাত পণ্যকে বুঝায় যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, অর্থকরী শস্য বা ফসল বলতে সেসব শস্য বা ফসলকে বুঝায় যা মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপন্ন করা হয়।
২। ব্যবহারের তারতম্য অনুযায়ী কতক গুলো শস্যকে খাদ্য শস্যে অথবা অর্থকরী ফসল উভয় শ্রেণীভুক্ত করা হয়। যেমন- চা, ইক্ষু, নারিকেল, সরিষা ইত্যাদি। তেমনি কোন একটি নির্দিষ্ট শস্য কোন একটি দেশের জন্য খাদ্য শস্য হিসাবে, আবার কোন দেশের জন্য অর্থকরী ফসল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৩। কোন শস্য যখন কোন দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটায় তখন খাদ্য শস্য। অন্যদিকে, কোন দ্রব্য যখন যখন মুনাফা অর্জনের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করে তখন অর্থকরী ফসল।
৪। ধান, গম, যব, ভুট্টা, আলু ইত্যাদি বাংলাদেশের প্রদান খাদ্য শস্য। অন্যদিকে, পাট, তুলা, তামাক, চা ইত্যাদি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকলি ফসল।