ফরজ (Foroj ):
যে বিধানটি ক্বতয়ী তথা অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। তাকে ফরজ বলা হয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর নির্দেশিত পালনীয় আমল হবার বিষয়ে বিন্দু পরিমাণ কোন সন্দেহ না থাকে। সেটি ফরজ। ফরজ আরবি শব্দ যার অর্থ অবশ্য কর্তব্য কোন ধর্মীয় আচার তথা ইবাদাতকে বোঝায়। এটা হচ্ছে এমন ইবাদত যা আপনাকে অভস্যই পালন করতে হবে। যেমন- নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি।
ওয়াজিব (Wajib):
ওয়াজিব (وَاجِبٌ), এটা মুসলিম সমাজে বহুল ব্যবহ্ত আরবি শব্দ। এটা মুহাম্মদ এর মুখ নিঃসৃত আরবি শব্দও বটে। বাংলায় ওয়াজিব এর অর্থ কর্তব্য। যার উপর আমল করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর পরিত্যাগ করলে শাস্তি পেতে হবে। এটাও ফরজ এর মতো এমন ইবাদত, যা পালন করলে সওয়াব এবং পরিত্যাগ করলে গুনাহ হবে। কিছু ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, যা করার আদেশ জন্নী দলীল তথা ফরজের তুলনায় দুর্বল দলীল দ্বারা প্রমাণিত, তাকে ওয়াজিব বলে। ফরজের পরই ওয়াজিব এর স্থান।
ফরজ ও ওয়াজিব এর মধ্যে পার্থক্যঃ
ফরজ ও ওয়াজিব এর মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। দুটি আমল ই আমাদের পরিত্যাগ করলে শাস্তি পেতে হবে। ফরজ ও ওয়াজিব এর মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-
ফরজ আরবি শব্দ যার অর্থ অবশ্য কর্তব্য কোন ধর্মীয় আচার তথা ইবাদাতকে বোঝায়। এটা হচ্ছে এমন ইবাদত যা আপনাকে অভস্যই পালন করতে হবে। যেমন- নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি। আর বাংলায় ওয়াজিব এর অর্থ কর্তব্য। যার উপর আমল করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর পরিত্যাগ করলে শাস্তি পেতে হবে। ফরজ ও ওয়াজিব নিয়ে দুটি বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ আলেমদের মতে, ফরজ ও ওয়াজিবের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আবার হানাফি ফকিরগণ ফরজ ও ওয়াজিবের মধ্যে পার্থক্য করেছেন।
এর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো-যেটি কুরআনের দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, সেটা ফরজ। আর, হাদিসের দলিলের মাধ্যমে যেটা প্রমাণ হবে সেটা ওয়াজিব। তবে, এই ইবাদত পালনের দিক থেকে আলাদা। পালন করার দিক থেকে ওয়াজিব ও ফরজ সমান। ফরজ ছেড়ে দিলে যেমন গুনাহ হবে, তেমনি ওয়াজিব ছেড়ে দিলেও গুনাহ হবে। ওয়াজিব ইবাদত হলো যেমন-ভেতরের সালাত। মৌলিক পর্যায়ের অপরিহার্য আমল এর দিক থেকে ফরজ ও ওয়াজিব এর মধ্যে পার্থক্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ নামাজ এর ১৪ টি করে ওয়াজিব ও ফরজ রয়েছে। যদি কোন ফরজ তরফ হয়ে যায় তাহলে নামাজ হবে না। কিন্তু ওয়াজিব তরফ হলে সাহু সিজদাহ্ করা হলে নামাজ হয়ে যাবে।
ফরজ ও ওয়াজিব দুটাই অবশ্য পালনীয়। তবে ফরজ হলো ওয়াজীব এর চেয়ে বড়। অর্থাৎ ফরজের পর ওয়াজীবের স্থান। আর ওয়াজীবের পর সুন্নত। সুন্নত কখনো ওয়াজীবের সমান হতে পারবে না। আর ওয়াজীব কখনো ফরজের সমান হতে পারবে না।