অবাধলভ্য দ্রব্য:
যে সমস্ত দ্রব্যের যোগান অসীম সেগুলো হচ্ছে মুক্ত দ্রব্য বা অবাধলভ্য দ্রব্য। যেমন-সূর্যের আলো, বাতাস, বৃষ্টি, নদীর পানি ইত্যাদি। এসব দ্রব্য বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
অর্থনৈতিক দ্রব্য:
যে সমস্ত দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় না অর্থাৎ যোগান সীমিত সেসব দ্রব্যকে অর্থনৈতিক দ্রব্য বলে। যেমন- খাদ্য, বাসস্থান, শহরে পানির সরবরাহ, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এ সমস্ত দ্রব্য পাওয়ার জন্য মানুষকে মূল্য বা দাম দিতে হয়।
অবাধলভ্য ও অর্থনৈতিক দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্যঃ
অবাধলভ্য ও অর্থনৈতিক দ্রব্যের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অমিল রয়েছে। তাই নিচে অবাধলভ্য ও অর্থনৈতিক দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে-
১. যেসব দ্রব্য প্রকৃতিতে অবাধে ও বিনা মূল্যে পাওয়া যায়, তাকে অবাধলভ্য দ্রব্য বলে। অন্যদিকে, অন্যদিকে যেসব দ্রব্য পাওয়ার জন্য মানুষকে আর্থিক মূল্য প্রদান করতে হয়, সেগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্য বলা হয়।
২. সাধারণত এসব দ্রব্য প্রকৃতিতে অবাধলভ্য এবং অঢেল পরিমাণে পাওয়া যায়। অবাধলভ্য দ্রব্যের যোগান প্রকৃতিতে মূলত সীমাহীন। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক দ্রব্যের যোগান সীমাবদ্ধ।
৩. অবাধলভ্য দ্রব্য যেমন- সূর্যের আলো, বাতাস, নদীর পানি ইত্যাদি। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক দ্রব্যে যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বই, চেয়ার, গাড়ি ইত্যাদি।