লেখ (Graph) :
ছক কাগজে (Graph paper) লেখ অংকন করা হয়। ছক কাগজে অনেকগুলো আনুভূমিক ও উলম্ব রেখা থাকে যা কাগজে সমান আয়তনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বর্গক্ষেত্র তৈরি করে। ছক কাগজে লেখ অংকন করার পূর্বে একটি আনুভূমিক রেখা OX ধরা হয় এবং একটি উলম্ব রেখা OY ধরা হয়। X অক্ষকে OX দ্বারা এবং Y অক্ষকে OY দ্বারা নির্দেশিত করা হয়। ছক কাগজের ক্ষুদ্রতম বর্গক্ষেত্রকে একক ধরে X ও Y অক্ষ বরাবর স্বাধীন ও অধীন চলককে উপস্থাপন করে লেখ চিত্র আঁকা হয়।
চিত্র (Picto) :
Picto অর্থ চিত্র অর্থাৎ Pictogram কে চিত্রের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন কৌশল বলা হয়। এটি একটি চিত্তাকর্ষ তথ্য উপস্থাপন কৌশল। এটি লাইন বা বার এর মতো abstract আকারে প্রকাশ না করে ডাটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চিত্রের সাহায্যে তথ্য উপস্থাপন করে। উদাহরণ স্বরূপ রংপুরের প্রতি বছর গাড়ির ব্যবহার তথ্যকে যদি আমরা উপস্থাপন করতে চাই সেক্ষেত্রে গাড়ীর চিত্রটি হবে উক্ত তথ্য উপস্থাপনের জন্য একমাত্র চিহ্ন।
লেখ ও চিত্রের মধ্যে পার্থক্যঃ
ছক কাগজে (Graph paper) লেখ অংকন করা হয়। লেখ ও চিত্র বিষয় দুটি এক মনে হলেও এদের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। নিচে লেখ ও চিত্রের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে-
১. ছক কাগজে অনেকগুলো আনুভূমিক ও উলম্ব রেখা থাকে যা কাগজে সমান আয়তনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বর্গক্ষেত্র তৈরি করে তাকে লেখ বলা হয়। অন্যদিকে, লাইন বা বার এর মতো abstract আকারে প্রকাশ না করে ডাটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চিত্রের সাহায্যে তথ্য উপস্থাপন করাকে চিত্র বলে।
২. সাধারণ রেখা গ্রাফ কাগজের উপর আঁকা হয়৷ অন্যদিকে, চিত্র সাদা কাগজে অংকন করা যেতে পারে৷
৩. লেখে স্থানাংক ও জ্যামিতিক প্রয়োগ খুব বেশি৷ অন্যদিকে, চিত্রে স্থানাংকের প্রয়োগ থাকলেও জ্যামিতিক প্রয়োগ নেই বললেই চলে৷
৪. লেখের সাহায্যে গণংখ্যা নিবেশন উপস্থাপন করা যায়৷ অন্যদিকে, চিত্রের সাহায্যে গণসংখ্যা নিবেশন নয় বরং অন্যান্য উপায় শ্রেণিবদ্ধকৃত তথ্য উপস্থাপন করা হয়৷
৫. লেখ অংকন করতে শুধুমাত্র জ্যামিতিক অংকন জানলেই হয়৷ অন্যদিকে, চিত্র অংকন করতে উপযুক্ত শিল্পীর প্রয়োজন পড়ে নতুবা উপস্থাপন চমৎকৃত হয় না৷
৬. লেখ তুলনামূলক কম চিত্তাকর্ষক৷ অন্যদিকে, চিত্র তুলনামূলক অধিক চিত্তাকর্ষক৷
৭. লেখের উপর পরিসংখ্যানের পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়৷ অন্যদিকে, চিত্রের উপর কোনরূপ পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ অসম্ভব৷