হেডফোন:
হেডফোন হচ্ছে এক জোড়া স্পিকার ড্রাইভার যা ব্যবহারকারীর কানের উপর মাথার চারপাশে পরিধান করা হয়। হেডফোনগুলি একক ব্যবহারকারীকে ব্যক্তিগতভাবে একটি অডিও উৎস শুনতে দেয়, যা একটি লাউডস্পিকারের বিপরীত, যা কাছের যে কেউ শোনার জন্য খোলা বাতাসে শব্দ নির্গত করে। হেডফোন প্রথম উদ্ভাবিত হয় ১৮৮১ সালে। গান শুনতে নয়, প্রথম হেডফোন তৈরি করা হয়েছিল টেলিফোন অপারেটরদের কাজের সুবিধার জন্য।
ইয়ারফোন:
ইয়ারফোন হচ্ছে এক জোড়া ছোট স্পিকার যা ব্যবহারকারীর কানে প্লাগ করা পৃথক ইউনিট নিয়ে গঠিত। হেডফোন থেকেই মূলত ইয়ারফোনের উদ্ভাবনা হয়েছে। এটি এমন একটি ডিভাইস যা ব্যক্তিগতভাবে অডিও শুনতে এবং কথা বলতে সাহায্য করে। ইয়ারফোন দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ
১. তার যুক্ত ইয়ারফোন।
২. তারবিহীন ইয়ারফোন।
হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য:
হেডফোন হচ্ছে এক জোড়া স্পিকার ড্রাইভার যা ব্যবহারকারীর কানের উপর মাথার চারপাশে পরিধান করা হয়। হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। হেডফোন হলো যেটা কানের কোঠরে না লাগিয়ে কানের উপরে দিয়ে অডিও শোনা হয়। অন্যদিকে ইয়ারফোন হলো যেগুলো কানের মধ্যে রেখে, গান শোনা বা এই ধরনের কাজ করা হয়।
২। হেডফোন পকেটে বহনযোগ্য নয়। অন্যদিকে ইয়ারফোন পকেটে বহনযোগ্য।
৩। হেডফোনে কুশন ব্যবহার করা হয়না। তার বদলে এটাতে থাকে ফোম এর একটা গোলাকার গ্রিপ এবং দুইপাশের ইয়ারবাডের মাঝে আটকে রাখার জন্য একটা হ্যান্ডেল থাকে। যাতে এটি সহজেই মাথার উপর দিয়ে কানে লাগানো যায়। অন্যদিকে ইয়ারফোনে তারের দুই পাশে কানে লাগানোর জন্য দুইটা মিনি স্পিকার থাকে এবং এটির মাথায় কুশন বা রাবার লাগানো থাকে যাতে কানের জন্য আরামদায়ক হয়।
৪। হেডফোনের নয়েজ ক্যান্সেলেশন ভালো হয়। অন্যদিকে ইয়ারফোনের কিছুটা সাইড নয়েজ হয়ে থাকে।
৫। যারা বেশি ঘামে তাদের জন্য হেডফোন ব্যবহার করা কষ্টকর। অনেকসময় ঘামের কারণে বাডসগুলো নষ্ট হয়ে যায় খুব দ্রুত। অন্যদিকে ইয়ারফোনে তুলুনা মূলক ভিন্ন। ইয়ারফোন সহজে গুছিয়ে রাখা যায়। তাই ঘমে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নেই।
৬। হেডফোন ওজনে অনেক টা ভারি হয়ে থাকে। যার ফলে সব জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া ঝামেলা হয়ে উঠে। অন্যদিকে হেডফোনের তুলুনায় ইয়ারফোন অনেক ওজনে কম। তাই যেখানে সেখানে বহন করে নিয়া যাওয়া যায় কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।
৭। হেডফোন দীর্ঘ্যক্ষন কানে দেওয়া থাকলে কিছু তা ব্যাথা অনুভব হয়। অন্যদিক ইয়ারফোনের সবচেয়ে সুবিধার ব্যাপার হচ্ছে বেশিক্ষণ কানে ধরে থাকা যায়।