Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

হার্ট সমস্যা ও হাঁপানি রোগের মধ্যে পার্থক্য

হাঁপানি (অ্যাজমা): বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আবিষ্কৃৃত হয়েছে জেফিরলুকাস্ট নামে ওষুধ। একেক দেশে একেক নামে এটি বাজারজাত করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশের বাজারে এসেছে সিঙ্গল এয়ার নামে ১০ মিলিগ্রামের একটি ওষুধ।এ কথা এখন প্রমাণিত সত্য যে, হাঁপানি রোগের ভিত্তি হলো শ্বাসনালীতে প্রদাহ। এই প্রদাহ সৃষ্টিতে লিউকোট্রাইন নামে একটি পদার্থ রয়েছে, যার ভূমিকা ব্যাপক। লিউকোট্রাইনের কার্যকলাপের ফলেই শ্বাসনালীতে বাধা, সংবেদনশীলতা এবং প্রদাহজনিত রস তৈরি হয়। নতুন ও পুরনো হাঁপানি এই লিউকোট্রাইনবিরোধী হিসেবে অবস্থান নিতে পারে। যদিও আগে এ ধরনের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে তবুও জেফিরলুকাস্ট ওষুধ লিউকোট্রাইনবিরোধী শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করতে সক্ষম। অনেকে ইনহেলার ব্যবহার পছন্দ করেন না। অথচ এই ওষুধটি মুখে সেবনযোগ্য। যদিও এই ওষুধটির প্রধান কাজ হাঁপানি প্রতিরোধ; তবুও দেখা যায় হাঁপানি চিকিৎসায়ও এটি বেশ ভালো কাজ করে।                                                                                                                                                                     

হার্ট সমস্যা: নন ইন্টারইনভেসিভ পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করি প্রথমে রোগ নির্ণয় করার। ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাম, ট্রেডমিল বা এক্সারসাইস টলারেন্স টেস্ট, এ ধরনের কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আমরা প্রথমে স্ক্রিন করার চেষ্টা করি যে এটি কি আসলেই হার্টের অসুখ, না কি অন্য কোনো বিষয় থেকে মাংসপেশি বা হাড়ের ব্যথা হচ্ছে কি না। এরপর পরীক্ষা করে যখন নিশ্চিত হই যে কার্ডিয়াক পেইন, রক্তনালির ব্লকটা কতটুকু খারাপ সেটি দেখতে। দুটো জিনিস। একটি হলো সমাধান করা সম্ভব। আরেকটি হলো সমাধান করা ভালো। হার্টের রক্তনালি হয়তো ব্লক, এটি কীভাবে সমাধান করা যাবে সেটি ভাবতে হবে। এটি কি কেবল ওষুধ খেয়ে সম্ভব, নাকি রিং পরিয়ে সম্ভব, না কি শুধু সার্জারি করিয়ে সম্ভব- এই তিনটির মধ্যে কোনটি সমাধানের জন্য ভালো। আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি নিষ্কৃতি দেবে, ভালো রাখবে কোন সমাধানটি, সেটি দেখতে হবে।

Exit mobile version