Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

হাইপোন্যাস্টি ও এপিন্যাস্টি এর মধ্যে পার্থক্য

হাইপোন্যাস্টি ও এপিন্যাস্টি

হাইপোন্যাস্টি বলতে এমন চলনকে বোঝায় যেখানে কোনো উদ্ভিদের পাতা বা অঙ্গের কোনো অংশের বৃদ্ধি অন্য অংশের বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হয়, ফলে সেই অংশ নীচের দিকে বাঁক হয়। উদাহরণস্বরূপ, ফুলের পাপড়ি ফোটার সময় হাইপোন্যাস্টি চলন দেখা যায়।

এপিন্যাস্টি বলতে এমন চলনকে বোঝায় যেখানে কোনো উদ্ভিদের পাতা বা অঙ্গের কোনো অংশের বৃদ্ধি অন্য অংশের বৃদ্ধির চেয়ে কম হয়, ফলে সেই অংশ উপরের দিকে বাঁক হয়। উদাহরণস্বরূপ, বীজের অঙ্কুরোদ্গমকালে এপিন্যাস্টি চলন দেখা যায়।

হাইপোন্যাস্টি ও এপিন্যাস্টি এর মধ্যে পার্থক্যঃ
হাইপোন্যাস্টি ও এপিন্যাস্টি হলো উদ্ভিদের পাতা বা অন্যান্য অঙ্গের চলন। এ দুটি চলনের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তা নিচে দেখানো হয়েছে-

১. পাতার গঠনের প্রথম পর্যায়ে অঙ্কভাগের কোশগুলি পৃষ্টভাগের কোশ অপেক্ষা বেশি বৃদ্ধির ফলে পাতা গুটিয়ে থাকে একে হাইপোন্যাস্টি বলে। অন্যদিকে, ইহা হাইপোন্যাস্টির ঠিক বিপরীত অর্থাৎ পাতার গঠনের পরবর্তী পর্যায়ে পৃষ্টভাগের কোশগুলি অঙ্কভাগের কোশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধির ফলে পাতাটি সোজা হয় তাকে এপিন্যাস্টি বলে।

২. কোনো উদ্ভিদের পাতা বা অঙ্গের কোনো অংশের বৃদ্ধি অন্য অংশের বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হলে সেই অংশ নীচের দিকে বাঁক হয়। অন্যদিকে, কোনো উদ্ভিদের পাতা বা অঙ্গের কোনো অংশের বৃদ্ধি অন্য অংশের বৃদ্ধির চেয়ে কম হলে সেই অংশ উপরের দিকে বাঁক হয়।

৩. কোনো অংশের বৃদ্ধি বেশি হলে হাইপোন্যাস্টি দেখা দেয়। অন্যদিকে, কোনো অংশের বৃদ্ধি কম হলে এপিন্যাস্টি দেখা দেয়।

৪. হাইপোন্যাস্টি চলনের দিক নিচের দিকে। অন্যদিকে, এপিন্যাস্টি চলনের দিক উপরের দিকে।

৫. একটি ফুলের পাপড়ি ফোটার সময় পাপড়ির কেন্দ্রস্থলে থাকা কোষগুলির বৃদ্ধি পাপড়ির প্রান্তের কোষগুলির বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হয়। ফলে পাপড়ি কেন্দ্র থেকে প্রান্তের দিকে বাঁক নেয়। এটি হাইপোন্যাস্টি চলনের একটি উদাহরণ।

অন্যদিকে, একটি বীজের অঙ্কুরোদ্গমকালে অঙ্কুর মূলের বৃদ্ধি অঙ্কুরের বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হয়। ফলে অঙ্কুর মূল উপরের দিকে বাঁক নেয়। এটি এপিন্যাস্টি চলনের একটি উদাহরণ।

Exit mobile version