তথ্য (Information):
‘তথ্য’ শব্দটিকে ইংরেজি পরিভাষায় ‘Information’ বলা হয়। ইংরেজি ইনফরমেশন শব্দটি ল্যাটিন শব্দমূল ‘informatio’ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার ক্রিয়ামূল ‘informare’, যার অর্থ – পথ দেখানো, শেখানো, কাউকে কোনো কিছু সম্পর্কে অবগত করা, কোনো কিছু আদান-প্রদান করা প্রভৃতি। তথ্য হল যেকোন বিষয়বস্তু সম্পর্কিত কিছু বর্ণণা, কিছু বিচার বিবেচনা, আলোচনা বা যেগুলো সহজবোধ্য বা সহজেই যেকোন বিষয বা বস্তু বা জীবজগৎ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা যেগুলো আমরা দেখতে পাই বা শুনতে পারি যদিও সেটা ভূলও হতে পারে । মূলত আপনি ধরতে পারেন, আপনি যদি ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষদের আচার ব্যাবহার যেটাকে গাণিতিকভাবে বলা হয়।
Outcomes সেটা পর্যবেক্ষণ করেই তাদেরকে আলাদা করতে পারবেন বা তাদেরকে বর্ণণা করতে পারবেন । এটা হল তথ্যের জেনারেল একটা কনসেপ্ট । তথ্য ভুল হতে পারে, তথ্য বিকৃত হতে পারে, তথ্য কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রচারিত কিছু কথা বা ধারণাও হতে পারে, কিন্তু তথ্য হতে হলে সেটাকে সঠিক যে হতেই হবে এরকম কোন বিষয় নাই ।
তত্ত্ব (Theory):
তত্ত্ব সাধারণ ভাষাতে নির্দেশ করে একটি ধারণা যা অনুমান, আন্দাজ, ধারণা, পরীক্ষা, এমনকি বিমূর্ত থেকে জন্ম নেয়। কিছু উৎস অনুসারে, প্রাচীন গ্রিকে তত্ত্ব শব্দটি ঘনঘন ব্যবহার করা হতো একটি নাট্যমঞ্চ “দৃষ্টিপাত” করা হিসাবে। এইটি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে তত্ত্ব শব্দটি কখনও কখনও অস্থায়ীর জন্য অথবা বাস্তবতার উল্টো কিছু জিনিস হিসেবে। যেকোন একটি ধারণা, যেকোন একটি কথা, বিবৃতি , ভাবধারা, চিন্তা চেতনা, কল্পনা , এগুলোকে যখন যথোপোযুক্ত যুক্তি, প্রমাণ, সপক্ষ যুক্তি, গাণিতিক বা যথোপোযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয় তখনই সেটাকে বলা হয়ে থাকে তত্ত্ব বা Theory.
তত্ত্ব কখনওই ভুল হতে পারে না যদিও অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত তত্ত্ব পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছৈ কিন্তু সেগুলোকে ভূল প্রমাণ করার জন্য আরেকটা তত্ত্ব নিয়ে আসতে হয়েছে । যেমন নিউটনের সূত্রানুসারে মহাবিশ্বের প্রতিটি পার্টিকেলই একে অপরকে একটা নির্দিষ্ট বলে আকর্ষণ করে যাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলা হয় ও সেটার একটা মান আছে যেটা নিয়ে অনেক হিসাব নিকাশ করা হয়।
তথ্য এবং তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্যঃ
তত্ত্ব সাধারণ ভাষাতে নির্দেশ করে একটি ধারণা যা অনুমান, আন্দাজ, ধারণা, পরীক্ষা, এমনকি বিমূর্ত থেকে জন্ম নেয়। তথ্য এবং তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। তথ্য হল যেকোন বিষয়বস্তু সম্পর্কিত কিছু বর্ণণা, কিছু বিচার বিবেচনা, আলোচনা বা যেগুলো সহজবোধ্য বা সহজেই যেকোন বিষয বা বস্তু বা জীবজগৎ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা। অন্যদিকে, যুক্তি, প্রমাণ, সপক্ষ যুক্তি, গাণিতিক বা যথোপোযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয় তখনই সেটাকে বলা হয়ে থাকে তত্ত্ব বা Theory.
২। তথ্য হলো কোন একটি ঘটনার বর্ণনা। আর তত্ত্ব হলো অনেকগুলো ঘটনার একটা সাধারণ রুপ। অন্যদিকে, পৃথিবীর সকল দেশ বাস্তবমূখী। এটা একটা তত্ত্ব বা Theory যাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভাষায় Realism বলা হয়।
৩। তথ্য সবসময় সঠিক ও সত্য নাও হতে পারে। অন্যদিকে, তত্ত্ব যা সবসময় সঠিক হবে।
৪। যদি কেউ আপনাকে বলে আগামীকালকে থেকে Quora বন্ধ হয়ে যাবে, তবে সেটা হল তথ্য। অন্যদিকে, কালকে যদি আপনি দেখেন যে Quora বন্ধ হয়নি, আপনি তা মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রমানও করতে পারবেন, তাই এটা হবে তত্ত্ব।