জজ(Judge):
যে জজ ফৌজদারি অপরাধ মামলার বিচার করেন তাকে দায়রা জজ বলে। দায়রা জজ ৩ প্রকার। যথা-
১। দায়রা জজ,
২। অতিরিক্ত দায়রা জজ,
৩। যুগ্ম দায়রা জজ।
ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫ ধারা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ পদাধিকার বলে সারা বাংলাদেশের জন্য জাস্টিস অব দ্যা পিস ও দায়রা জজগণ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ পদাধিকার বলে নিজ দায়িত্বের আওতায় জাস্টিস অফ দ্যা পিস হবেন। জেলা জজ ও দায়রা জজ যথাক্রমে স্বীয় এলাকার দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের প্রধান কর্মকর্তা।
দেওয়ানী কার্যবিধির ২(৮) ধারা ও দন্ডবিধির ১৯ ধারায় জজ এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১১৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বিচারবিভাগীয় পদে উক্ত উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করবেন যেহেতু দায়রা জজ অতিরিক্ত দায়রা জজ যুগ্ম দায়রা জজ হলো বিচার বিভাগীয় পদ রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদ এর শর্তাবলীর সাপেক্ষে দিয়ে থাকেন।
ব্যারিস্টার(Barrister):
ব্যারিস্টারগণ সাধারণ আইনগত বিচারব্যবস্থার এক ধরনের আইনজীবী। ব্যারিস্টারগণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনি পরামর্শ এবং মামলা মোকদ্দমাতে বিশেষজ্ঞ হন। তাদের পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে উচ্চ আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলিতে মামলা নেওয়া, আইনি খসড়া করা, দর্শন, অনুমান এবং আইনের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা এবং বিশেষজ্ঞের আইনি মতামত দেওয়া অন্তর্ভুক্ত। প্রায়শই ব্যারিস্টারগণ আইনি পণ্ডিত হিসাবেও স্বীকৃত হন।
ব্যারিস্টারগণ সেসকল আইনজীবীদের থেকে ভিন্ন, যাদের মক্কেলদের সাথে বেশি সংযোগ রয়েছে এবং যারা লেনদেন-ধরনের আইনি কাজও করতে পারে। মূলত ব্যারিস্টারগণ বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং তারা খুব কমই সরাসরি মক্কেলদের দ্বারা অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত হন। স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ শাসনাধীন জার্সি, গার্নসি এবং আইল অফ ম্যানের আইনি ব্যবস্থায় ব্যারিস্টার শব্দটিকে সম্মানজনক উপাধি হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।
জজ ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য:
ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫ ধারা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ পদাধিকার বলে সারা বাংলাদেশের জন্য জাস্টিস অব দ্যা পিস। জজ ও ব্যারিস্টার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। বিচারক এবং ব্যারিস্টারের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হ’ল বিচারক এমন এক কর্মকর্তা যিনি আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার হলেন ওয়েলস, ইংল্যান্ড এবং কিছু অন্যান্য এখতিয়ারে আদালতের উপস্থাপনে বিশেষী আইনজীবী।
২। জজ হবার জন্য Legal Qualification অর্থাৎ Bar Council Certified হওয়া আবশ্যক। অন্যদিকে একজন ব্যারিস্টার কে L.L.B পাস করতে হয়, এবং Bar Council Certified হতে হয়।
৩। জজকে ২ বার Bar Council পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথমবার Advocate হবার জন্য দ্বিতীয় বার জজ হবার জন্য। অন্যদিকে একজন ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য ৯ মাসের একটি বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স (বিপিটিসি) করতে হয়।
৪। জজ বা বিচারক দ্বারা বিচার বিভাগে আইন প্রয়োগকারী এবং আদালতের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বোঝায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের আইনজীবীদের বলা হয় অ্যাডভোকেট। আমেরিকাতে আইনজীবীকে বলা হয় অ্যাটর্নি। তেমনি করে অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীকে বলা হয় ব্যারিস্টার।