কাঁকরোলঃ
কাঁকরোল একটি জনপ্রিয় সবজি ৷ এটি পুষ্টিকরও বটে ৷ এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন-বি, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে৷ বাংলাদেশে কুমড়ো পরিবারের যতো সবজি আছে তার মধ্যে কাঁকরোলের বাজার দর ও চাহিদা বাজারে অনেক বেশি৷ কাঁকরোল গাছ লতানো গাছ । স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয়না । তাই বাগানে দুই ধরনের গাছ না-থাকলে , পরাগ মিলন না-হলে , ফল হবেনা । কাঁকরোলের অনেক জাত দেখতে পাওয়া যায়৷ ফলের আকার, আকৃতি ও বর্ণ এবং নরম কাঁটার বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিভিন্ন শনাক্ত করা যায়৷ ৯০-১০০ দিনের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব। লালমাই গ্রামের, ফটিকছড়ি উপজেলা, চট্রগ্রাম জেলা (এই গ্রামে ধানের পরে প্রাধন ফসল হিসাবে কাঁকরো চাষ করে থাকে কৃষকরা)।
করলাঃ
করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। করলা তেতো স্বাদযুক্ত এবং এর শরীর কাঁটার মত ওয়ার্টে ভরা। পরিণত ফল লম্বাটে, রঙ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে কমলা বা লাল, দৈর্ঘ্য ১২-২৫ সেন্টিমিটার (৫-১০ ইঞ্চি), প্রস্থ ৫-৭ সেমি হয়ে থাকে। করলা কেটে লবণ জলে ডুবিয়ে রাখলে তিক্ততা কমে। দক্ষিণ এশীয় এই সবজি এখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বীজ এঁটেল মাটিতে ২.৫-৫ সেমি গভীরে এবং ৯০-১২০ সেমি দূরত্বে লাগাতে হয়।
কাঁকরোল ও করলার মধ্যে পার্থক্যঃ
করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাঁকরোল ও করলার মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-
১। কাঁকরোল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, করলা কার্ডিয়াক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
২। কাঁকরোল এনেমিয়া প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, করলা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৩। কাঁকরোল হার্ট এটাকের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল।
৪। কাঁকরোল বিষণ্ণতা প্রতিহত করে। অন্যদিকে, করলা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।