কিশমিশ (Kismish):
কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ৭০ শতাংশ খাঁটি এই ফ্রুক্টোজ সহজেই হজমযোগ্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখতে পারেন। রক্তে লৌহের পরিমাণ কম হলে অবসাদ, দুর্বলতা, হতাশায় ভুগতে পারেন। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে পারে। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে, যা রক্তশূন্যতা দূর করে।
কিশমিশ হাড় সুস্থ রাখে। হাড়ের এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উৎস। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম- যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা রক্ত দূষিত হওয়াকে বলে অ্যাসিডোসিস, যা থেকে আথ্রাইটিস, চামড়া রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার হতে পারে। অ্যান্টাসিডস হিসেবে পরিচিতি দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ক্ষরীয়ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিসের হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো কিশমিশে রয়েছে।
মুনাক্কা (Munakka):
নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শুকানো আঙ্গুর মুনাক্কায় পরিণত হয়। আঙ্গুরের বেশির ভাগ উপকারী গুণাবলী মুনাক্কায় পাওয়া যায়। মুনাক্কা শীতল এবং মিষ্টি। এটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়। নিয়মিত মুনাক্কার প্রিমিয়ামের মতো একই স্বাদ রয়েছে তাই স্বাদে অভিন্নতা, শুধুমাত্র পার্থক্য হল আকার। একে “আবজোশ” নামেও ডাকা হয়। জৈন ড্রাই ফ্রুটস তাদের গ্রাহকদের নামমাত্র মূল্যে প্রিমিয়াম আফগান মুনাক্কা প্রদান করছে, সরাসরি তাদের দোরগোড়ায় পাঠানো হচ্ছে। এটি প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধা মুনাক্কাকে স্বাস্থ্য সচেতন ভারতের জন্য একটি আইটেম কিনতে চায়। প্রচুর পরিমাণে আয়রন, এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণে উপকারী। মুনাক্কাকে শুষ্ক ফল প্রদানকারী শক্তি এবং সহনশীলতা হিসেবে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়।
শুকনো আঙুর বা মুনাক্কা এবং মধুতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। এটি খেলে শুধু শরীরই পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না, রোগও দূরে থাকে। ঠান্ডা, কাশি এবং কফের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটিকে একটি ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মধু এবং মুনাক্কা উভয়ের মধ্যেই ক্যালসিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে।
কিশমিশ ও মুনাক্কার মধ্যে পার্থক্যঃ
রান্নাঘরে এমন অনেক উপকরণ আছে যা আমরা ব্যবহার করি ঠিকই কিন্তু এগুলির বিষয়ে বিশেষ কিছু জানি না। এই যেমন ধরুণ কিশমিশ আর মুনাক্কা। দু’টো দেখতে অনেকটা একই রকম, আবার ইংরেজি নামও এক, রেজ়িন। আর এই কারণে তবে দু’টোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে যা হয়ত অনেকেই জানেন না। সেগুলি কী কী জেনে নিন-
১। মুনাক্কা কিশমিশের থেকে আকারে বড়। এর ভেতরে বীজ থাকে ও এগুলি বাদামী রঙের হয়। অন্যদিকে, কিশমিশ আকারে ছোট হয় এবং এর ভেতরে বীজ থাকে না। এগুলো হালকা সবুজ ও বাদামী রঙয়ের হয় এবং এতে হল্দেটে দাগ থাকে। কিশমিশ ও মুনাক্কা দু’টো খাওয়ারই অনেক উপকারিতা আছে।
২। মুনাক্কা কিশমিশের তুলনায় বেশি মিষ্টি হয়। অন্যদিকে, কিশমিশের স্বাদে তুলনামূলক ভাবে টক হয়। খেতে গিয়ে অবশ্য বোঝা যায়না কিন্তু এই টক ভাবই কিশমিশ খেলে অ্যাসডিটির কারণ হয়।
৩। আর্য়ুবেদে কিশমিশের তুলনায় মুনাক্কাকে বেশি উপকারী বলা হয়। যদিও পুষ্টির নিরিখে কিশমিশ ও মুনাক্কার মধ্যে উনিশ-বিশের পার্থক্য।
৪। কিশমিশ খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। অন্যদিকে, মুনাক্কা অ্যাসিডিটি রোধ করে।
৫। মুনাক্কা ভেতরে বীজ যুক্ত বড় আঙুর থেকে তৈরি হয়। অন্যদিকে, কিশমিশ ছোট আঙুর থেকে তৈরি হয়।