LAN ও CAN এর মধ্যে পার্থক্য

LAN এবং CAN দুটি নেটওয়ার্কের প্রকার, কিন্তু LAN ও CAN এর মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে LAN ও CAN এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো-

ল্যান (LAN):
LAN এর পূর্ণরুপ Local Area Network. কোন অফিসের উদাহরণ দেয়, যেখানে কিছু কম্পিউটার একসাথে কানেক্টেড থাকে, একসাথে একাধিক প্রিন্টার স্ক্যানার কানেক্টেড থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন সকলের সাথে শেয়ার করা থাকে; তাহলে এটিকে ল্যান বলা হবে। একই বিল্ডিং এর মাঝে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্রকে Local area network বলে।

LAN এমন একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা আমাদের এবং সাধারণ লোকের কাছে খুবই পরিচিত। এটা সীমিত পরিসরের, মানে একটা ঘর বা বিল্ডিং-এর কিছু অংশে সীমিত ভাবে ব্যবহারযোগ্য। আর এই কারণেই আমরা সাধারণত আমাদের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক মানে LAN-কে বেশি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য ইথারনেট প্রযুক্তি (IEEE 802.3) ব্যবহার করি। ইথারনেট ক্যাবল যেটা আমরা আমাদের বাড়ি এবং অফিস জুড়ে রাখি, তাদের ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতা আছে, নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের তদতিরিক্ত ব্যবহার করলে, স্পীড অনেক কমে যায়। repeater, bridge, ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি LAN-এর পরিসর বাড়ানো যায়।

ক্যান (CAN) :
CAN এর পূর্ণরুপ Campus Area Network। একটি নেটওয়ার্ক যা স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বা একটি কর্পোরেট প্রাঙ্গনে আচ্ছাদন করা থাকে তাকে ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। এটা বিভিন্ন LAN, একটি কেন্দ্রীয় ফায়ারওয়াল, এবং একটি লিজড লাইন বা অন্য কোন উপায়ে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করা থাকে, তাদের সমন্বয়ে তৈরি হয়। CAN এ ব্যবহৃত নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যেমন- হাব, সুইচ, ব্রিজ এবং গেটওয়ে।

LAN ও CAN এর মধ্যে পার্থক্যঃ
১. LAN এর পূর্ণরুপ Local Area Network; অন্যদিকে, CAN এর পূর্ণরুপ Campus Area Network।

২. LAN সাধারণত বাসা-বাড়ি বা অফিসের কম্পিউটারগুলোকে সংযুক্ত করে। অন্যদিকে, CAN মূলত একটি ক্যাম্পাসের মধ্যে দুই বা ততোধিক LAN কে সংযুক্ত করে।

৩. LAN এর কাভারেজ এরিয়া ১ কি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে, CAN এর কাভারেজ এরিয়া ১-৫ কি.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৪. LAN এর ব্যান্ডউইথ সাধারণত বেশি হয় এবং ডেটা ট্রাফিক কম, যেখানে CAN এ নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বেশি এবং ব্যান্ডউইথ কম হতে পারে।

৫. LAN এ ব্যবহৃত নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যেমন- রিপিটার, হাব এবং সুইচ। অন্যদিকে, CAN এ ব্যবহৃত নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যেমন- হাব, সুইচ, ব্রিজ এবং গেটওয়ে।