ল্যান (LAN):
কোন অফিসের উদাহরণ দেয়, যেখানে কিছু কম্পিউটার একসাথে কানেক্টেড থাকে, একসাথে একাধিক প্রিন্টার স্ক্যানার কানেক্টেড থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন সকলের সাথে শেয়ার করা থাকে; তাহলে এটিকে ল্যান বলা হবে। একই বিল্ডিং এর মাঝে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্রকে Local area network বলে।
LAN এমন একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা আমাদের এবং সাধারণ লোকের কাছে খুবই পরিচিত। এটা সীমিত পরিসরের, মানে একটা ঘর বা বিল্ডিং-এর কিছু অংশে সীমিত ভাবে ব্যবহারযোগ্য। আর এই কারণেই আমরা সাধারণত আমাদের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক মানে LAN-কে বেশি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য ইথারনেট প্রযুক্তি (IEEE 802.3) ব্যবহার করি। ইথারনেট ক্যাবল যেটা আমরা আমাদের বাড়ি এবং অফিস জুড়ে রাখি, তাদের ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতা আছে, নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের তদতিরিক্ত ব্যবহার করলে, স্পীড অনেক কমে যায়। repeater, bridge, ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি LAN-এর পরিসর বাড়ানো যায়।
ম্যান (MAN):
একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় Metropolitan area network । এ ধরনের নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এই নেটওয়ার্কর ডাটা ট্রান্সফার স্পিড গিগাবিট পার সেকেন্ড। MAN এর পরিসর বা যেটুকু জায়গা কভার করতে পারে সেটা LAN এবং CAN তুলনা বেশ বড়। বস্তুত, একটা MAN একটি শহর বা মেট্রো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন LAN-এর লিঙ্ক ব্যবহার করে তৈরি করা যেতে পারে। ঔ মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ককে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য তারযুক্ত backhaul ব্যবহার করা হয়।
আপনি বিশ্বের এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন শহরে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে পরিচিত হতে পারেন। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।
LAN ও MAN এর মধ্যে পার্থক্যঃ
LAN এমন একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা আমাদের এবং সাধারণ লোকের কাছে খুবই পরিচিত। LAN ও MAN এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। M.A.N এর পুরো অর্থ হলো Metropoliton Area Network. অন্যদিকে, L.A.N এর পুরো অর্থ হলো Local Area Network.
২। এটি সাধারণত একটি নিদিষ্ট ভবন ক্যাম্পাসে একদল কম্পিউটার আকারের কোন এলাকা ব্যাপী বিস্তৃত। অন্যদিকে, MAN হলো কতগুলো ল্যান এর সমন্বয় যা একটি পুরা শহর বা বড় নেটওয়ার্কভুক্ত হয়।
৩। LAN এর গতি কম। অন্যদিকে, LAN এর চেয়ে এর MAN গতি বেশি।
৪। নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের তদতিরিক্ত ব্যবহার করলে, স্পীড অনেক কমে যায়। repeater, bridge, ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি LAN-এর পরিসর বাড়ানো যায়। অন্যদিকে LAN-এ এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।