ল্যাসপিয়ার্সের সূচক সংখ্যা (Laspayres Index number):
ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ ল্যাসপিয়ার (১৮৭১) এর সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রকে ভিত্তি বৎসর পদ্ধতি (Base year system) বলা হয়। তিনি ভিত্তি বৎসরে ব্যবহৃত পণ্যের পরিমাণকে ভার হিসেবে বিবেচনা করে সূচক সংখ্যা নির্ণয় করেন।
প্যাশের সূচক সংখ্যা (Paasche’s Index number):
জার্মান পরিসংখ্যানবিদ প্যাশে (১৮৭৪) সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রটি চলতি বৎসর পদ্ধতি সূত্র বলা হয়। প্যাশে চলতি বৎসরে ব্যবহৃত পণ্যের পরিমানকে ভার হিসেবে বিবেচনা করে সূচক সংখ্যা নির্ণয় করেন।
ল্যাসপিয়ার্স ও প্যাশের সূচক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য:
ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ ল্যাসপিয়ার (১৮৭১) এর সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রকে ভিত্তি বৎসর পদ্ধতি (Base year system) বলা হয়। ল্যাসপিয়ার্স ও প্যাশের সূচক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ ল্যাসপিয়ার (১৮৭১) এর সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রকে ভিত্তি বৎসর পদ্ধতি বলা হয়। অন্যদিকে জার্মান পরিসংখ্যানবিদ প্যাশে (১৮৭৪) সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের সূত্রটি চলতি বৎসর পদ্ধতি সূত্র বলা হয়।
২। ল্যাসপিয়ার ভিত্তি বৎসরে ব্যবহৃত পণ্যের পরিমাণকে ভার হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে প্যাশে চলতি বৎসরে ব্যবহৃত পণ্যের পরিমানকে ভার হিসেবে বিবেচনা করে।
৩।ল্যাসপিয়ারসের সূত্রে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। অন্যদিকে প্যাশের সূত্রে নিম্নমূখী প্রবণতা দেখা যায়।
৪। প্রকৃতপক্ষে সূচক সংখ্যার মান যত হওয়া উচিত ল্যাসপিয়ারসের সূচক সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হয়। অন্যদিকে প্রকৃতপক্ষে সূচক সংখ্যার মান যত হওয়া উচিত প্যাশের সূচক সংখ্যা তার চেয়ে কম হয়।