আলোক দশা(Light Phase):
সালোকসংশ্লেষের আলোক বিক্রিয়ার ঘটনাস্থল – ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানা ।
সূর্যালোক, জল, ক্লোরোফিল, ও অন্যান্য সাহায্যকারী রঞ্জক, NADP (নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাই-নিউক্লিওটাইড ফসফেট) ও ADP।
আলোক দশার উৎপন্ন পদার্থগুলি হলো- NADPH + H+ (বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাই-নিউক্লিওটাইড ফসফেট), ATP H2O (জল) ও O2 (অক্সিজেন) ।
অন্ধকার দশা(Dark Phase):
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), রিবিউলোজ বিস ফসফেট (RuBP), NADPH + H+, ATP (অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) ও রিবিউলোজ বিস ফসফেট কার্বক্সিলেজ (RuBISCO) সহ অন্যান্য উৎসেচক। অন্ধকার দশার প্রধান উৎপাদিত দ্রব্যটি হল গ্লুকোজ । এছাড়া RuBP, NADP ও ADP পুনঃসংশ্লেষিত হয় ।সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় উৎপন্ন পদার্থ অন্ধকার দশায় ব্যবহৃত হয়।
এই অন্ধকার দশায় জৈব অণু শর্করা সংশ্লেষিত হয়। তাই এই দশাকে জৈব সংশ্লেষ দশাও বলা হয়। অন্ধকার দশার পর্যায়গুলি হলো- (i) CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংবন্ধন ও PGA উৎপাদান; (ii) PGA থেকে PGAld বা ফসফোগ্লিসারলডিহাইড গঠন ; (iii) শর্করা সৃষ্টি ; (iv) RuBP -এর পুনরূৎপাদন ।
আলোক দশা ও অন্ধকার দশার মধ্যে পার্থক্য:
এই অন্ধকার দশায় জৈব অণু শর্করা সংশ্লেষিত হয়। তাই এই দশাকে জৈব সংশ্লেষ দশাও বলা হয়। আলোক দশা ও অন্ধকার দশার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। আলোক দশায় সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে অন্ধকার দশায় সূর্যালোকের প্রয়োজন হয় না।
২।আলোক দশা ক্লোরপ্লাস্টের গ্রানা অঞ্চলে ঘটে। অন্যদিকে অন্ধকার দশা ক্লোরপ্লাস্টের স্ট্রোমা অঞ্চলে ঘটে।
৩। আলোক দশায় অক্সিজেন নির্গত হয় । অন্যদিকে অন্ধকার দশায় অক্সিজেন নির্গত হয় না ।
৪। আলোক দশায় NADP বিজারিত হয়। অন্যদিকে অন্ধকার দশায় NADP বিজারিত হয় না ।
৫। আলোক দশায় কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষিত হয় না। অন্যদিকে অন্ধকার দশায় কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষিত হয় ।
৬। আলোক দশায় গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে অন্ধকার দশায় গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় ।