Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময়ের মধ্যে পার্থক্য

স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময়ের

স্থানীয় সময় (Local Time) :

প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তার নিজ মেরুরেখার ওপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্বদিকে অবস্থিত স্থানগুলোয় আগে সূর্যোদয় ঘটে। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে, তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং স্থানীয় ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। এটিকে কোপনো স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়। পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ ডিগ্রি। এই ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব আবর্তন করতে পৃথিবীর ২৪ ঘণ্টা ১৪.৪০ মিনিট সময় লাগে। তাই পৃথিবী ১ ডিগ্রি ঘোরে ৪ মিনিট সময়ে অর্থাৎ প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।

প্রমাণ সময় (Standard Time) :

দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। এ জন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রতিটি দেশেই ওই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয়, এ সময়কে ওই দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি ও কানাডায় পাঁচটি প্রমাণ সময় রয়েছে। গ্রিনিচের স্থানীয় সময়কে পুরো পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচের সময় অপেক্ষা ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী। ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমারেখা বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগে অবস্থিত। এ কারণে এ দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে বাংলাদেশের প্রমাণ সময় ধরে কাজ করা হয়।

স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময়ের মধ্যে পার্থক্য:

প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তার নিজ মেরুরেখার ওপর আবর্তিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় এবং প্রমাণ সময়ের মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে-

১। কোন স্থানের দ্রাঘিমা রেখাতে সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে সেই স্থানের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে সময় নির্ধারণকে স্থানীয় সময় বলা হয়। অন্যদিকে কোন একটি দেশের রাজধানী কিংবা তার মধ্যভাগে অবস্থিত দ্রাঘিমা রেখা অনুসারে ওই দেশের সময় নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে প্রমাণ সময় বলা হয়ে থাকে।

২। সূর্যরশ্মি কোন স্থানে লম্বভাবে কিরণ দিলে সে সময়কে উক্ত স্থানের মধ্যাহ্ন বলে এবং সেখানকার ঘড়িতে তখন বেলা ১২ টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। অন্যদিকে কোন স্থানের মধ্যাহ্নে সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ণয় করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য কোন স্থানের দ্রাঘিমা রেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা হয়।

৩। পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ ডিগ্রি। এই ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব আবর্তন করতে পৃথিবীর ২৪ ঘণ্টা ১৪.৪০ মিনিট সময় লাগে। তাই পৃথিবী ১ ডিগ্রি ঘোরে ৪ মিনিট সময়ে অর্থাৎ প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচের সময় অপেক্ষা ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী। ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমারেখা বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগে অবস্থিত। এ কারণে এ দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে বাংলাদেশের প্রমাণ সময় ধরে কাজ করা হয়।

Exit mobile version