ঝিঙে আর চিচিঙ্গা মধ্যে পার্থক্য

ঝিঙেঃ

ঝিঙা সাধারণত দুই প্রজাতির হয়, যথা, luffa aegyptiaca এবং luffa acutangula। এই সবজি চীন ও ভিয়েতনামের অতি জনপ্রিয়। সবজি হিসাবে খাবারের জন্য কচি অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। ঝিঙে সাধারণত বর্ষজীবী, ফেব্রুয়ারি-মে তে পাওয়া যায়। ৬”-১৮” পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্গ এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় লতাজাতীয় উদ্ভিদ যা শসা কিউকুয়াবিটাশা পরিবারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

চিচিঙ্গাঃ

‘চিচিঙ্গা বা কইডা বা কুুুশি বা হইডা (Snake gourd) বৈজ্ঞানিক নাম: (Trichosanthes cucumerina) হচ্ছে ঝিঙের মত কিন্তু আরও লম্বা বা কখনো সাপের মত পেঁচানো, অপেক্ষাকৃত নরম সবজি। এটি ঝিঙে, লাউ, শশা, কুমড়ো ইত্যাদির মতই কিউকারবিটেসি পরিবারের সদস্য।

চিচিঙ্গা গাছের পাতা ২৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুলগুলি উষ্ণ, সাদা আঁশ নিয়ে রাতে পাপড়ি মেলে , পাপড়িগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় চুলের মতো সাদা আঁশ গুলো কিছুটা মুটিয়ে আসে, তবে রাতের বেলা সাদা রেখার কারণে নীল রঙের ফলগুলো দেখা যায় (নিচের গ্যালারীতে ফটো দেখুন)। চিচিঙ্গা ফল ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পেকে গেলে লাল বর্ণ ধারণ করে এবং বীজ সংগ্রহ করা যায়। এদের একটি জাত হলো জাপানি চিচিঙ্গা। এটি কিছুটা গোলাকৃতির হয় এবং ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃত্তাকার হয়। চট্টগ্রামে এটিকে হইডা নামে ডাকা হয়।

ঝিঙে আর চিচিঙ্গা মধ্যে পার্থক্যঃ

ঝিঙা সাধারণত দুই প্রজাতির হয়, যথা, luffa aegyptiaca এবং luffa acutangula। এই সবজি চীন ও ভিয়েতনামের অতি জনপ্রিয়। ঝিঙে আর চিচিঙ্গা মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। চিচিঙ্গার তুলনায় ঝিঙের আবরণ একটু ভারি ও আশ যুক্ত। অন্যদিকে, ঝিঙের তুলনায় চিচিঙ্গা অনেকটা হলকা এবং নরম।

২। প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে রয়েছে ১৬ গ্রাম ক্যালরি। অন্যদিকে, প্রতি ১০০ গ্রাম চিচিঙ্গায় রয়েছে ৩০ ক্যালরি।

৩। ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে প্রোটিন রয়েছে ০.৮ গ্রাম ও চর্বি রয়েছে ০.১ গ্রাম। অন্যদিকে, চিচিঙ্গায় প্রোটিন ও চর্বি পরিমান সমান।

৪। প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ৩.৮ গ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে, চিচিঙ্গায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ৩.৩ গ্রাম এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়াম নেই।