Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

গণিত এবং পরিসংখ্যানের মধ্যে পার্থক্য

গণিত (Mathematics)ঃ

গণিত পরিমাণ সংগঠন পরিবর্তন ও স্থান বিষয়ক গবেষণা। গণিতের নিদিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। গণিতবিদগন বিশৃঙ্খল ও অসমাধানযুক্ত সমস্যাকে শৃঙ্খলভাবে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া খুঁজে বেড়ান ও তা সমাধানে নতুন ধারণা প্রদান করে থাকেন। গাণিতিক প্রমাণের মাধ্যমে এই ধারণাগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত গবেষণায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ বা শত শত বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা। ১৭শ শতক পর্যন্তও কেবল পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গাণিতিক শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত। সেসময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোন পৃথক শাস্ত্র ছিল না।

পরিসংখ্যান (Statistics)ঃ

পরিসংখ্যান বা সংখ্যায়ন (ইংরেজি ভাষায়: statistics) এক ধরনের গাণিতিক বিজ্ঞান (Mathematical Science) যা মূলত উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা ও উপাত্ত সহজে পরিবেশন নিয়ে কাজ করে। বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক এবং আরো নানা শাখায় পরিসংখ্যানের ব্যবহার রয়েছে। উপাত্ত বিশ্লেষন করে তা থেকে তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত (informed decision) গ্রহণে পরিসংখ্যানের ভূমিকা অপরিহার্য। যে কোনো ধরনের গবেষণার জন্য পরিসংখ্যান এর মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তবে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে পরিসংখ্যানের অপব্যবহারও হয়ে থাকে।

গনিত এবং পরিসংখ্যানের মধ্যে পার্থক্যঃ

১। পরিসংখ্যান ল্যাটিন শব্দ Status বা ইতালি শব্দ statista বা জার্মানি শব্দ Statistik বা ইংরেজী শব্দ Statistics হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অন্যদিকে গনিতের ইংরেজি প্রতিশব্দ Mathematics । Mathematics যাঁর মুল অর্থ পরিমাণ ,সংগঠন, পরিবর্তন ও স্থান বিষয়ক গবেষণা।

২। y = mx + c হচ্ছে একটি সরলরেখার গাণিতিক সমীকরণ যেখানে, x, y হচ্ছে চলক m হচ্ছে ঢাল এবং c হচ্ছে ধ্রুবক। অন্যদিকে y= mx + e হচ্ছে একটি রৈখিক পরিসংখ্যানিক/সংশ্লেষণ সমীকরণ যেখানে x হচ্ছে স্বাধীন চলক, y হচ্ছে অধীন চলক, m হচ্ছে সংশ্লেষণ সহগ এবং e হচ্ছে Error Term. মূল খেলা কিন্তু c এবং e এর মাঝে। গণিতের c কেবলই একটা সংখ্যা প্রকাশ করে যার কোন তাৎপর্য নাই কিন্তু পরিসংখ্যানে আপনার কাজ হচ্ছে 5% Level Of Significance ধরে e কে মিনিমাইজ করা। এই e কে মিনিমাইজ করতে গিয়েই স্থান, কালভেদে আপনি আপনার পরিসংখ্যানের জ্ঞান কাজে লাগাবেন।

৩। গণিত কিছুটা তাত্বিক । অন্যদিকে পরিসংখ্যান পুরোটাই প্রায়োগিক।

৪। ২৫ কেবল মাত্র একটা সংখ্যা যেটা হচ্ছে গণিত । অন্যদিকে আপনি যদি বলেন আমার পরিবারের সকল সদস্যদের গড় বয়স হচ্ছে ২৫ তখন সেটা পরিসংখ্যান হবে। অর্থাৎ যখন কোন সংখ্যার উপর Interpretation করা যাবে তখন সেটা আর গণিত থাকে না, সেটা হয় পরিসংখ্যান।

Exit mobile version