গড় ব্যবধান (Mean deviation):
গড় ব্যবধানের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংখ্যা মানের পার্থক্য তথ্য মানসমূহের গাণিতিক গড় অথবা মধ্যমা থেকে নেয়া হয়, সাধারণত গাণিতিক গড় থেকে প্রতিটি মানের ব্যবধানের যোগফল শূন্য বিধায় এই ব্যবধান গুলো শুধুমাত্র ধনাত্মক ধরে নেওয়া হয় অর্থাৎ পরম (absolute) মান নেয়া হয়। পরম মান বোঝাতে ব্যবধান বা পার্থক্যগুলোর দুপাশে দাঁড়ি টানা হয়। তারপর ঐ ব্যবধান গুলোর গাণিতিক গড় নির্ণয় করে গড় ব্যবধান পাওয়া যায়।
পরিমিতি ব্যবধান (Standard deviation):
পরিমিত ব্যবধান বিস্তার পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল প্রচলিত বিস্তার পরিমাপ। গড় ব্যবধানের পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় এবং সংখ্যা মান থেকে গড়ের ব্যবধান গুলোকে এক্ষেত্রে বর্গ করা হয় ফলে সমস্ত বর্গফল গুলোই ধনাত্মক হয়ে যায়। কোন চলক বা নিবেশনের সকল তথ্যমান থেকে এদের গাণিতিক গড়ের ব্যবধানসমূহের বর্গের গড় হল ভেদাংক এবং ভেদাংক এর বর্গমূল হল পরিমিত ব্যবধান।
গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধানের মধ্যে পার্থক্য:
গড় ব্যবধানের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংখ্যা মানের পার্থক্য তথ্য মানসমূহের গাণিতিক গড় অথবা মধ্যমা থেকে নেয়া হয়। গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধানের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। গাণিতিক গড় বা মধ্যমা বা প্রচুরক হতে তথ্যের চিহ্নবর্জিত ব্যবধান সমূহের গড় মানতে গড় ব্যবধান বলে। অন্যদিকে গাণিতিক গড় হতে তথ্য সমূহের বিচ্যুতির বর্গের গাণিতিক গড় মানের বর্গমুলকে পরিমিতি ব্যবধান বলে।
২। গড় ব্যবধান ইহা গাণিতিক গড়, মধ্যমা এবং প্রচুরক হতে নির্ণয় করা যায়। অন্যদিকে পরিমিতি ব্যবধান শুধুমাত্র গাণিতিক গড় হতে নির্ণয় করা যায়।
৩। গড় ব্যবধান নির্ণয়ে ব্যবধানের পরম মান বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে পরিমিতি ব্যবধান নির্ণয়ে ব্যবধানের বর্গমান বিবেচনা করা হয়।
৪। গড় ব্যবধান পরবর্তী বীজগাণিতিক প্রক্রিয়ার উপযোগী নহে। অন্যদিকে পরিমিতি ব্যবধান বীজগাণিতিক প্রক্রিয়ার উপযোগী।
৫। গড় ব্যবধান চরম মান দ্বারা কম প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে পরিমিতি ব্যবধান চরম মান দ্বারা অধীক প্রবাহিত হয়।
৬। গড় ব্যবধান আদর্শ বিস্তার পরিমাপক নহে। অন্যদিকে পরিমিতি ব্যবধান আদর্শ বিস্তার পরিমাপক।