মোলঃ
রাসায়নিক পদার্থের পারমাণবিক ভর (পরমাণুর ক্ষেত্রে) অথবা আণবিক ভরকে (অণুর ক্ষেত্রে) গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলে। আবার, মোলের আধুনিক সংজ্ঞা হচ্ছে– কার্বন-12 আইসোটোপের 12 গ্রাম ভরের কার্বন এ যতগুলো পরমাণু থাকে তার সমান সংখ্যক পরমাণু বা মৌলিক কণা কোনো পদার্থের যত গ্রামে থাকে তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলে।
মোলারিটিঃ
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১ লিটার দ্রবণের মধ্যে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে। মোলারিটিকে M দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
যেমনঃ ১ মোল NaCl= 58.5g। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১ লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি এক মোল Nacl বা 58.5g NaCl। দ্রবীভূত থাকে তবে ঐ দ্রবণকে NaCl এর মোলার দ্রবণ বলে এবং দ্রবণটির মোলারিটি হচ্ছে ১।
মোল ও মোলারিটির মধ্যে পার্থক্যঃ
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ১ লিটার দ্রবণের মধ্যে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে। মোল ও মোলারিটির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। মোল পদার্থের সংখ্যা একটি পরিমাপ। অন্যদিকে, মোলারিটি হয় ঘনত্ব একটি পরিমাপ।
২। একটি মোল একটি ইউনিট। অন্যদিকে, তুলনামুলক মোলারিটিতে হয় না।
৩। মোল পরমাণু, অণু, অপরিবর্তনীয় পরমাণুবিশেষ: যেকোনো পদার্থেরই হতে পারে। অন্যদিকে, মোলারিটি শুধুমাত্র একটি দ্রবণের ঘনত্বের একটি মাপ।
৪। দ্রাবক একটি দ্রাবক এক ভলিউম একটি পদার্থ moles হিসাবে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মোলারিটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল।
৫। মিশ্রতা একটি মিশ্রণ উপস্থিত পদার্থ পরিমাণের একটি ধারণা দেয়। অন্যদিকে, মোলারিটি দ্রবণের আয়তনের ওপর ধারণা দেয়।