Site icon Parthokko.com.bd | পার্থক্য | Difference Between

মসফেট ও ট্রানজিস্টের মধ্যে পার্থক্য

mosfet-and-transistor

মসফেট (MOSFET):
Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor অপর নাম মসফেট MOSFET( মসফেট )। মসফেটের ‘গেট’-এর উপর সিলিকন ডাই-অক্সাইডের একটি পাতলা প্রলেপ দেওয়া থাকে, যা গেট এবং চ্যানেলের মধ্যে ক্যাপাসিটর সৃষ্টি করে। এজন্য একে ইনসুলেটেড গেট ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (IGFET) বলা হয়। মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টরকে সংক্ষেপে মসফেট বলে। এটি তিন প্রান্ত বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যার ইলেকট্রন বা হােলের প্রবাহ দ্বারা কারেন্ট প্রবাহ ঘটে।

ট্রানজিস্টর (Transistor):
ট্রানজিস্টর একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার, সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর। পোলারিটির উপর ভিত্তি করে বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর বা সংক্ষেপে ট্রানজিস্টরের গঠন দুই রকম: NPN এবং PNP । দুইটি N-টাইপ অর্ধ পরিবাহীর মাঝামাঝি একটি P-টাইপ অর্ধ পরিবাহী যুক্ত করে তৈরি হয় একটি NPN ট্রানজিস্টর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে NPN ট্রানজিস্টর ই ব্যবহৃত হয় ।

ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক বর্তনীর একটি সক্রিয় অংশ। এর অন্তত তিনটি সংযোগ থাকে। দুইরকমের ট্রানজিস্টর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়: বাইপোলার এবং ফিল্ড ইফেক্ট। বাইপোলার শ্রেণীর ট্রানজিস্টরে ইলেকট্রন এবং হোল এই দুই ধরনের তড়িৎ-বাহকের অনুপ্রবেশকে কাজে লাগানো হয়। আর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরে শুধুমাত্র ইলেকট্রন অথবা হোলকে তড়িৎবাহক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রথমে বাইপোলার শ্রেণীটিই তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে দুই ধরনের ট্রানজিস্টরেরই প্রয়োগ দেখা যায়।

মসফেট ও ট্রানজিস্টের মধ্যে পার্থক্যঃ

ট্রানজিস্টর একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসফেট ও ট্রানজিস্টের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor অপর নাম মসফেট MOSFET( মসফেট )। অন্যদিকে, ট্রানজিস্টর একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস (Electronics Device) যা অ্যামপ্লিফায়ার ও উচ্চ দ্রুতি সুইচ হিসেবে কাজ করে।দ

২। মসফেট এর পাওয়ার গেইন তথা গেট কন্ট্রোল হয় ভোল্ট দ্বারা। অন্যদিকে, ট্রানজিস্টারের গেট কন্ট্রোল হয় কারেন্ট(প্রবাহ এম্পিয়ার) দ্বারা)।

৩। মসফেটে গেট টার্মিনালে থাকে উচ্চ মানের ইনসালেটর যা একটি ক্যাপাসিটর হিসাবে কাজ করে। এখানে ভোল্টেজ প্রয়োগ করে গেট কন্ট্রল করা হয়। অন্যদিকে, ট্রানজিস্টরে এরুপ কিছু থাকেনা, প্রবাহ কম বেশি হলেই কালেক্টর প্রবাহ কম বেশি হয়।

৪। মসফেটের ‘গেট’-এর উপর সিলিকন ডাই-অক্সাইডের একটি পাতলা প্রলেপ দেওয়া থাকে, যা গেট এবং চ্যানেলের মধ্যে ক্যাপাসিটর সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, ট্রানজিস্টর একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

Exit mobile version